রাচিনের মাঝে তরুণ যুবরাজের ছায়া দেখছেন কুম্বলে

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অশ্বিনের চোখে বরুণই ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা
১১ মার্চ ২৫
ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিল যুবরাজ সিংয়ের। মারকুটে ব্যাটিংয়ের সঙ্গী বাঁহাতি স্পিন বোলিংয়ের কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতের অন্যতম ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন এই অলরাউন্ডার। সেই যুবরাজ অবসরে গেছেন অনেক আগে।
এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্রর মধ্যে অল্প বয়সী যুবরাজের ছায়া দেখছেন ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার অনীল কুম্বলে। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে টপ অর্ডারে ব্যাট করে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন রাচিন। বিশ্বকাপের মূল পর্বে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয়ের অবদান রেখেছেন তিনি।

এমন পারফরম্যান্সই নজর কেড়েছে কুম্বলের। তিনি রাচিনের প্রশংসা করে বলেছেন, 'আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে তার সামর্থ্য দেখেছি যখন সে ওপেনিং করেছে। কিন্তু এই ইনিংসটি বিশেষ কিছু (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ)। আপনি জানেন বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সে কি করেছে। রাচিনকে নিয়ে এটাই আমার প্রথম অনুভুতি। সে কিছুটা যুবরাজ সিংয়ের মতো। কোনো কোনো দিক দিয়ে তরুণ যুবরাজ সিং। সে দুর্দান্ত ছিল, অসাধরণ ছিল।'
বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচে ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছিল বাঁহাতি এই ব্যাটারের। তবে মুল আসরের প্রথম ম্যাচে তিন নম্বরে নেমেই নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রাচিন। শুধু তাই নয় ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২৩ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন এই তরুণ ক্রিকেটার।
অবশ্য এদিন শুধু ব্যাট হাতেই নয় বরং বল হাতেও সফল ছিলেন রাচিন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও উইকেটে থিতু হতে থাকা হ্যারি ব্রুককে ক্যাচের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান তিনি। ম্যাচে ১০ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে নিয়েছেন এই একটি উইকেট।
এদিকে ২০১১ সালে নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ জয় করেছিল ভারত। সেই বিশ্বকাপে যুবরাজ ছিলেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক। সেই আসরে বাঁহাতি এই ব্যাটার ৯০.৫০ গড়ে করেছিলেন ৩৬২ রান। শুধু তাই নয় বল হাতেও দলের অন্যতম সফল বোলার ছিলেন তিনি। ৫.০২ ইকোনোমিতে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট।
দীর্ঘ একযুগ পর আবারো ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। আসরের প্রথম ম্যাচে রাচিন ব্যাটে-বলে শুরুটা বেশ ভালোই করেছেন। এখনো দলটির গ্রুপ পর্বের ৮টি ম্যাচে বাকি। ফলে যুবরাজ সিংয়ের মতো নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।