নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রিজওয়ানের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিলের দাবি সাবেক পাকিস্তানি পেসারের
২৩ ঘন্টা আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ডকে টপকে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকে মূল আসরে জায়গা করে নিয়েছিল নেদারল্যান্ড। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছিল দলটি। আগে বল হাতে নেমে ৩৮ রানের মধ্যে পাকিস্তানের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিল তারা। যদিও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে পাকিস্তানও পাল্টা আক্রমণ শুরু করে নেদারল্যান্ডকে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের ইনিংস থামে ২৮৬ রানে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রত্যাশিত শুরু পায়নি ডাচরা। দলীয় ২৮ রানেই তারা হারায় ওপেনার ম্যাক্স ও ডাউদকে। এরপর দলীয় ৫০ রানে ফিরে যান কলিন অ্যাকারম্যান। যদিও দ্বিতীয় উইকেটে বাস ডি লিড ও ভিক্রম জিৎ সিং মিলে ৭০ রানের জুটি গড়ে। মূলত এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে নেদারল্যান্ডস।
ডি লিড একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত এই ডাচ ব্যাটার ফেরেন ৬৮ বলে ৬৭ রান করে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ২টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। শেষের দিকে আর কোনো ব্যাটারই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ফলে তারা দল আউট হয়ে যায় ২০৫ রানে।

৮১ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ আসর শুরু করল পাকিস্তান। বাবর আজমের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ। দুটি উইকেট পান হাসান আলী। একটি করে উইকেট পান শাহীন আফ্রিদি, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তানও। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই উইকেট হারায় তারা। লগান ভ্যান বিকের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে পুশ করতে চেয়েছিলেন ফখর জামান, যা সরাসরি চলে যায় বোলারের হাতে। ফখরকে সাজঘরে ফিরতে হয় ১৫ বলে ১২ রান করে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বাবর।
পাকিস্তানের অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন কলিন অ্যাকারম্যান। ডানহাতি এই স্পিনারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে সাকিব জুলফিকারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। বাবরকে ফিরতে হয় ৫ রানে। আরেক ওপেনার ইমাম উল হক আউট হয়েছেন ১৫ রানে। পল ভ্যান ম্যাকেরিনের বলে ফাইন লেগে থাকা আরিয়ান দত্তের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেন রিজওয়ান ও সাকিল। তারা দুজনে মিলে পাকিস্তানের শুরুর বিপর্যয় সামাল দিতে থাকেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিল। হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন রিজওয়ানও। পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫৮ বলে। তাদের দুজনের ১২০ রানের জুটি ভাঙেন আরিয়ান। ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা সাকিলকে বিদায় করেন তিনি।
সাকিলের বিদায়ের পর আউট হয়েছেন রিজওয়ানও। পাকিস্তানের উইকেটকিপারও করেছেন ৬৮ রান। এদিকে প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করলেও এদিন দ্রুতই বিদায় নিয়েছেন ইফতিখার আহমেদ। বাস ডি লিডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফিরেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর জুটি গড়েন শাদাব ও নওয়াজ। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৪ রান।
শাদাব ও নওয়াজের জুটি ভাঙেন ডি লিড। ডানহাতি এই পেসারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৩২ রান করা শাদাব। দারুণ ব্যাটিং করা নওয়াজ করেছেন ৩৯ রান। শেষ দিকে হারিস রউফ ১৬ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদির অপরাজিত ১৩ রানের পরও ২৮৬ রানে অল আউট হয়েছে পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসের হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছেন ডি লিড।