তামিমকে বিশ্বকাপ দলে না রাখার ব্যাখ্যা দিলেন নান্নু

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
১৩ মার্চ ২৫
চোটের কারণে সবশেষ এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ফিরলেও দুই ম্যাচের বেশি খেলা হয়নি বাঁহাতি এই ওপেনারের। অস্বস্তিবোধ করায় তৃতীয় ওয়ানডেতে বিশ্রাম দেয়া হয় তাকে। এবার বিশ্বকাপ দলেও রাখা হয়নি তামিমকে। বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ককে বিশ্বকাপ দলে না রাখার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, তারা চোট নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি।
লম্বা সময় ধরেই পিঠের চোটে ভুগছেন তামিম। যে কারণে গত কয়েকমাসে বাংলাদেশের বেশ কিছু ম্যাচ মিস করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ইংল্যান্ড থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেও শেষ পর্যন্ত কাজে এলো না। নিউজিল্যান্ড সিরিজে অস্বস্তিবোধ করায় আবারও মেডিকেল টিমের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি।

যারা কিনা তাকে বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র দেয়নি। এদিকে গতকাল শোনা যায় ফিট না হওয়ার কারণে পুরো বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। ‘আনফিট’ হওয়ায় তামিমকে বিশ্বকাপ দলে চাননি সাকিব আল হাসান ও চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। এমন খবরও বেরিয়েছিল। নান্নু অবশ্য বলছেন, সবাই মিলে আলোচনা করে এবং বিবেচনা করে তামিমকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে নান্নু বলেন, ‘আপনারা তো এবারের বিশ্বকাপের দলটা এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন। তামিম ইকবালের তো অনেকদিন ধরেই ইনজুরি নিয়ে চিন্তা আছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর...সব কিছু বিবেচনা করেই, সবাই আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া। বিশ্বকাপে অনেকদিনের ব্যাপার। অনেক ম্যাচ আছে।’
চোটের দুশ্চিন্তা থাকলে নিজের সেরাটা দেয়া কঠিন বলে জানান প্রধান নির্বাচক। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, ‘‘তামিম অন্যতম সেরা। কিন্তু চোটের দুশ্চিন্তা থাকলে নিজেকে মেলে ধরা কঠিন। মেডিকেলের সঙ্গে আলোচনা করেছি, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। এটা আগেই বলেছি, এখন দল ঘোষণা করা হয়েছে।’
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নয়টি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। দেড় মাসের বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচের আগেই দুই থেকে তিনদিনের বিশ্রাম পাবে দল। শেষদিকের ম্যাচগুলোতে বিশ্রাম পাওয়া যেতে পারে ৪-৫ দিনও। এসব বিবেচনায় তামিমকে বিশ্বকাপ দলে নেয়া যেতো কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু জানিয়েছেন, কিছু কিছু চোট নিয়ে ঝুঁকি নেয়া যায় না।
প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আপনি দেখেন, কিছু কিছু ইনজুরি আছে আপনি ঝুঁকি নিতে পারেন না। টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্তু বেকায়দায় পড়বে। আপনি দেখুন, নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচে...প্রথম ম্যাচ খেলেছে, দ্বিতীয় ম্যাচটা খেলেছে... এরপর কিন্তু শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দিতে হয়েছে।’