promotional_ad

সতর্কতা করা ছাড়া মানকাড করা নিম্নমানের মানসিকতা: হেইসম্যান

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

এক ফরম্যাট খেলি বলে চাপ কম, এটা বললে ভুল হবে: শেখ মেহেদী

৫ ঘন্টা আগে
ক্রিকফ্রেঞ্জি

বল হওয়ার আগে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ইশ সোধিকে রান আউট করেছিলেন হাসান মাহমুদ। টিভি আম্পায়ার আউট দিলেও লিটন দাসের চাওয়ায় আবারও ফিরিয়ে আনা হয় সোধিকে। লিটনদের এমন কাজে খুশি হয়েছেন মাইক হেইসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ক্রিকেটার পরামর্শ কোন ক্রিকেটারকে মানকাড আউট করার আগে যেন সতর্ক করে দেয়া হয়।


ঘটনাটি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসের ৪৬তম ওভারের। বোলিং প্রান্ত থেকে দৌড়ে এসে নিজের অ্যাকশন পূর্ণ না করে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন হাসান। আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস সিদ্ধান্ত নিতে টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ। ক্রিকেটের নিয়ম মেনে নীতিন মেনন অবলায় আউট দিয়েছেন সোধিকে।


নিউজিল্যান্ডের এই টেইলএন্ডার ব্যাটার হাসতে হা???তে মাঠ ছাড়ছিলেন। সেই সময় হেলমেটে ব্যাট দিয়ে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। এমন সময় এরাসমাসের কাছে গিয়ে আবেদন তুলে নেয়ার প্রস্তাব দেন অধিনায়ক লিটন। আম্পায়ারের ডাকে আবারও ব্যাটিংয়ে ফেরেন সৌধি। খুশিতে মাঠে ঢুকে হাসানকে জড়িয়ে ধরেন নিউজিল্যান্ডের এই ক্রিকেটার।



promotional_ad

মানকাড আউটকে বলা হয়ে থাকে ক্রিকেটের স্পিরিট বহির্ভূত কাজ। যদিও কিছুদিন আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এটিকে রান আউট হিসেবে গণ্য করে বৈধতা দিয়েছেন। তবুও হেইসম্যান মানকাড আউটের একেবারেই পক্ষে নন। ধারাভাষ্য দিতে আসা এই সাবেক ক্রিকেটার মনে করেন, এটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে।


ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে হেইসম্যান বলেন, ‘বোলারের প্রান্ত থেকে বের হওয়া ব্যাটারকে আউট করাটা আমার কাছে একেবারে ভুল মনে হয়। এটা আসলে খেলার স্পিরিট না। আমি যখন এটা দেখেছি তখন খানিকটা বিরক্ত হয়েছি। আমি জানি মানকাড ক্রিকেটের নিয়মে রয়েছে কিন্তু আমার মনে হয় এভাবে আউট হওয়া উচিত নয়। এটা আসলে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। অনেকে হয়ত আমার সঙ্গে একমত হবেন না।’


অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকতার পাশাপাশি ধারাভাষ্যকে বেছে নেন হেইসম্যান। দ্রুতই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জনপ্রিয়তা পাওয়া হেইসম্যান এবারই প্রথম বাংলাদেশে ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন। হাসান যখন মানকাড আউট করেন তখন ধারাভাষ্য বক্সে ছিলেন তিনি। সেই সময় তার সঙ্গে থাকা বাকি ধারাভাষ্যকাররাও আক্ষেপ করেছেন। সতর্ক করা ছাড়া ব্যাটারকে মানকাড আউট করাকে নিম্নমানের মানসিকতা মনে করেন তিনি।


হেইসম্যান বলেন, ‘আমি যেখাবে বেড়ে উঠেছি, ক্রিকেট খেলেছি, অস্ট্রেলিয়ায় থেকেছি, ইংল্যান্ড এবং সাউথ আফ্রিকায় খেলেছি এবং আমার ৩০ বছরের ধারাভাষ্য ক্যারিয়ার। আমি মনে করি এটা আসলে ঠিক নয়। আমি আবারও বলছি আমি মনে করি না এই আউট হওয়া উচিত। এটা ভালো যে তারা আবারও সোধিকে ডেকে এনেছে। কিন্তু যখন আমি দেখেছি তখন ধারাভাষ্য বক্সে বসে আফসোস করছিলাম।’



‘আমার মতো আরও অনেকে আফসোস করছিলো। আমি মনে করি তারা যেটা করতে পারত একটা আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দিতে পারত। এরপর যদি আবার সে উইকেট ছেড়ে বের হতো তাহলে মনে হয় মানকাডিং করাটা ভালো দেখাতো। কিন্তু কোন ধরণের সতর্কতা ছাড়াই মানকাড করাটা খুবই নিম্নমানের মানসিকতা।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball