মনস্তাত্ত্বিক খেলায় বাড়তি মনোযোগ লিটনের

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টপ অর্ডারে ব্যর্থ লিটনরা, গুলশানকে জেতালেন নাইম-ইলিয়াস-ফরহাদরা
১৯ মার্চ ২৫
গেল কয়েকদিন আবাহাওয়ার কোন ঠিকঠিকানা নেই। এই রোদ তো এই বৃষ্টি! বুধবার সকালেও আকাশে হেসেছে রোদ কিন্তু দুপুর গড়াতেই নেমে এল মুশুলধারে বৃষ্টি। যা ভেস্তে দিল ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। শেষ পর্যন্ত সত্যি হল লিটন দাসের কথাই।
বুধবার বেলা দুইটা থেকে অনুশীলন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু লিটন সংবাদ সম্মেলনে শেষে ট্রফি উন্মোচনে আসতে না আসতেই বৃষ্টি শুরু। খানিক পরই আকাশ ভেঙে নামে বৃষ্টি, যা চলে প্রায় ঘণ্টাখানেকের কাছাকাছি। এরপর অবশ্য ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য ইন্ডোরে ছুটেছিলেন লিটন-মাহমুদউল্লাহ।
প্রথম ওয়ানডের আগে দলীয় অনুশীলনের সুযোগ যে হাতছাড়া হতে পারে এর আভাস হয়তো লিটন আগেই পেয়েছিলেন। আবাহাওয়ার পুর্বাভাস দেখেই তাই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, হয়তো অনুশীলন ছাড়াই মাঠে নামতে হতে পারে তার দলকে।

এমন অবস্থায় ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে মনস্তাত্ত্বিক খেলায়ই বাড়তি মনোযোগ দিতে চান লিটন। তবে প্রতিপক্ষ দলের পেস বোলিং ইউনিটে বড় নাম ছাড়াও কিউই স্পিনারদের নিয়েও সতর্ক বাংলাদেশ। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনে আলাদা করেই নিউজিল্যান্ড স্পিনারদের কথাও উল্লেখ করেন বাংলাদেশ দলপতি।
এক ফরম্যাট খেলি বলে চাপ কম, এটা বললে ভুল হবে: শেখ মেহেদী
২২ ঘন্টা আগে
লিটন বলেন, 'কাজ করার তো সুযোগ নাই। যা করার মানসিকভাবে করা লাগছে, মাইন্ড গেম খেলা লাগছে। দেখি কতটুকু সফল হওয়া যায়। টেকটিক্যালি তো কিছু করতে পারিনি, গত কিছু দিন অনুশীলন করতে পারিনি। জানি না আজও কতখানি প্র্যাকটিস করতে পারব। হয়ত প্র্যাকটিস ছাড়াই মেইন ম্যাচে খেলা লাগতে পারে। এটা মানসিকতার খেলা। ওদের স্পিনও ভালো, কোয়ালিটি স্পিনারও কিন্তু আছে।'
এদিকে গেল কয়েক ম্যাচে হাসেনি লিটনের ব্যাট। আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৬০ বলে ৫৩ রান করেছিলেন। সেটিই ৯ ইনিংসে তার একমাত্র পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। এশিয়া কাপের তিন ম্যাচে যথাক্রমে করেছেন ১৬, ১৫ ও শূন্য রান। নিজের অফ ফর্ম কাটানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন লিটন।
অধিনায়কের ভাষ্যমতে, ‘আমি চেষ্টা করছি, অনুশীলন করছি, কীভাবে ফাইন্ড আউট করা যায় (সমস্যাগুলো)। আশা করছি তাড়াতাড়ি কামব্যাক করতে পারবো। ’ তার এই ফর্মের কারণ কী আত্মবিশ্বাসের অভাব? জবাবে লিটন বলেন, ‘আত্মবিশ্বাসের বিষয় না। অনুশীলন করছি, দেখা যাক কী করতে পারি।’
বিশ্বকাপের আগের সিরিজ হওয়ায় দুই দলই পুর্নশক্তির স্কোয়াড নিয়ে খেলছে না। নিউজিল্যান্ড দলে অনেক ক্রিকেটার না থাকলেও পেস বোলিং ইউনিটে আছেন, ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন বা কাইল জেমিসনরা। বাংলাদেশ দলের পেস ইউনিটের মূল ক্রিকেটাররা বিশ্রামে।
যে জন্য কি এই সিরিজ কি ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য ভালো প্ল্যাটফর্ম? লিটন সুযোগ দেখছেন বিশ্বকাপ সামনে রেখে। একই সঙ্গে ম্যাচ জেতার লক্ষ্যের কথাও জানিয়েছেন তিনি। লিটন বলেন, ‘এখানে স্বাভাবিক বিষয় আমরা টিমে যে কয় আছে, তাদের মধ্যে কন্টিনিউ ম্যাচ খেলেছে হৃদয় একমাত্র।'
'আমিও খুব একটা কন্টিনিউ খেলিনি। মাঝখানে দুইটা ম্যাচ অসুস্থ ছিলাম। যেসব খেলোয়াড়রা খেলবে, তারা অনেক দিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। নাসুম ও শেখ মেহেদীও খেলেছে কিছুদিন আগে। তবুও এটা একটা সুযোগ। যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ। সবারই দেখার একটা সুযোগ। সবার জন্য সুযোগ আছে।'