ভারতকে হারানোর কারণে আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে: মিরাজ

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে, ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা যেতে পারে ৩ বার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শেষ করেছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরে তিন ম্যাচ খেলে একমাত্র এই ম্যাচেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। এর আগে গ্রুপ পর্বে শুধু আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে বলাই যায় এশিয়া কাপে নিজেদের সেরা নৈপুণ্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
অবশ্য ভারতের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি বাংলাদেশ দলকে অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এশিয়া কাপ মিশন শেষে শনিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। দেশে ফিরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন মিরাজ।
তিনি বলেন, ‘শেষ ম্যাচটা জেতায় দলের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস যোগ করবে। ভারত এই টুর্নামেন্টে খুব ভালো খেলছে। ম্যাচটা এমন ছিল...আমরা জিতলেও এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে আমাদের মধ্যে এই বিষয়টা কাজ করেছে, যদি ভারতের সঙ্গে জিততে পারি, তাহলে বিশ্বকাপের যাওয়ার আগে আত্মবিশ্বাসটা ভালো থাকবে। বিশ্বকাপ বড় ইভেন্ট, খেলাও ভারতে। সেখানে যাওয়ার আগে দলের স্পিরিটটা বেড়ে যাবে। সেটাই হয়েছে। দলের খেলোয়াড়েরা খুব ভালো খেলেছে।’

আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে পাওয়া দুটি জয়কেই বাংলাদেশের প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন মিরাজ। এ ছাড়া তরুণরা নিজেদের অবস্থান জোরালো করায় আনন্দিত মিরাজ। বিশেষ করে অভিষেকে তানজিম হাসান সাকিবের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন তিনি।
তামিমকে দেখতে হাসপাতালে মুশফিক-মিরাজরা
২৪ মার্চ ২৫
প্রাপ্তির হিসেব কষে মিরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই দুটি জয়। আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। যেভাবে ক্রিকেট খেলেছে, তরুণেরা যেভাবে খেলেছে, যেমন সাকিব অভিষেকে ভালো করেছে, হৃদয় সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ভালো জুটি করেছে। এই ম্যাচে লোয়ার অর্ডার থেকেও রান এসেছে। এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচক দিক।’
একাধিক ক্রিকেটার চোটে থাকায় এশিয়া কাপে সেরা দল নিয়ে নামতে পারেনি বাংলাদেশ। পিঠের চোটে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। হাঁটুর চোটের কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে ইবাদত হোসেনকে। এশিয়া কাপের মাঝ পথে ফিরতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে।
মিরাজ মনে করেন তারা সবাই থাকলে আরও ভালো একটি টুর্নামেন্ট হতো বাংলাদেশের। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব যারা চোটে পড়েছে, তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। তামিম ভাই দলের সঙ্গে ছিলেন না চোটের কারণে। শান্ত খেলার ভেতর চোটে পড়েছে। সে কিন্তু দুটি ম্যাচ খেলেছে, দুটিতেই বড় ইনিংস খেলেছে। লিটন ভাই অসুস্থ ছিলেন।'
'মুশফিক ভাইকে ব্যক্তিগত কারণে খেলার মাঝেই চলে আসতে হয়েছে। সব মিলিয়ে যদি সবাই সুস্থ থাকত, তাহলে খুব ভালো একটা টুর্নামেন্ট হতো, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ আশাই করেছি। সব মিলিয়ে মনে করি, বিশ্বকাপের আগে আমরা সবাই সুস্থ হয়ে, মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় থেকে বিশ্বকাপে যেতে চাই।’