রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ বলে পাওয়া জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে ১২ রান প্রয়োজন ছিল শ্রীলঙ্কার। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। বৃষ্টির কারণে দুই দলের জন্য ৪২ ওভারে নেমে যাওয়া ম্যাচটির ৪১তম ওভার করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং দুনিথ ওয়েলালাগে। সেই ওভারে মাত্র চার রান নিতে পারা শ্রীলঙ্কার শেষ ওভারে লাগত আট রান। অভিষিক্ত জামান খানের করা সেই ওভারে প্রমোদ মাদুশানের উইকেট হারালেও শেষ বলে চারিথ আসলঙ্কার নৈপুণ্যে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী এখন তারাই।
বারবার বৃষ্টি হানা দেয়ার ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। বৃষ্টির জন্য দুই দলের খেলা প্রথমে ৪৫ এবং পরবর্তীতে ৪২ ওভারে নামিয়ে আনা হয়। নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ২৫২ রান তোলে পাকিস্তান।
এতে বিশাল ভূমিকা মোহাম্মদ রিজওয়ানের। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ৭৩ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৬ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান পঞ্চম উইকেট জুটিতে তোলে ১০৮ রান।

রিজওয়ানের সঙ্গে গড়া এই জুটিতে ইফতিখার আহমেদের অবদান ৪৭ রানের। ৪০ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। শেষের ভালোতেই মূলত লড়াই করার মত সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। শুরুর দিকে আব্দুল্লাহ শফিক অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি পান ।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্যাটারদের দিকে তাকিয়ে জ্যোতি
৬ ঘন্টা আগে
ইমাম উল হকের জায়গায় খেলতে নেমে ৬৯ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫২ রান তোলেন শফিক। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৬৫ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মাথিশা পাথিরানা। দুটি উইকেট নেন মাদুশান এবং একটি করে উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা এবং ওয়েলালাগে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ রানের মধ্যেই কুশল পেরেরার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৮ বলে ১৭ রান তুলে শাদাব খানের থ্রো'তে রান আউট হন তিনি। তারপর ৫৭ আনের জুটি গড়েন পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস।
৪৪ বলে ২৯ রান করা নিশাঙ্কা, শাদাবের বলে কট এন্ড বোল্ড হলে এই জুটি ভাঙে। তারপর বরাবর ১০০ রানের জুটি গড়েন সাদিরা সামাবিক্রমা এবং মেন্ডিস। ৫১ বলে ৪৮ রানে ফিরে যাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত অনেকটাই গড়ে দেন তিনি।
দলীয় ২১০ রানে মেন্ডিসের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৮৭বলে ৯১ রান তুলে ইফতিখারের বলে ফিরে যান তিনি। এরপরের ওভারে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন ইফতিখার। একপাশ আগলে রাখেন কেবল সেই আসালঙ্কা।
শ্রীলঙ্কাকে রেকর্ড ১১ বারের মতো ফাইনালে তোলার ইনিংসে শেষপর্যন্ত ৪৭ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন আসালঙ্কা। দুই উইকেটের রুদ্ধশ্বাস এক জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।