ব্যাটারদের জন্য ঘাড়ের গার্ড বাধ্যতামূলক করলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রিকেটের কালো অধ্যায়ের একটি ছিল ফিল হিউজের মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যুবরণ করা। নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় একটি বাউন্স এসে এই অজি ক্রিকেটারের ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলেও না ফেরার দেশে চলে যান হিউজ। কিছুদিন আগেও আরেক অজি ক্রিকেটার ক্যামেরন গ্রিনও ঘাড়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। ফলে ঘাড়ের প্রটেকশন বা নেক গার্ড নিয়ে এবার কঠোর অবস্থানে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
সময়ে সময়ে ক্রিকেটে আত্মরক্ষার ব্যাপারে এসেছে বেশ পরিবর্তন। এক সময় ব্যাটাররা হেলমেট ছাড়াই খেলতে নামতেন। এরপর ১৯৭৮ সালে মাথায় বলের আঘাত থেকে বাঁচতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার গ্রাহাম ইয়ালপ প্রথম হেলমেট ব্যবহার করেন। ধীরে ধীরে হেলমেট পরিধান করা ব্যাপকভাবে প্রসার পায়। পরবর্তীতে পেস বলারদের মুখোমুখি হলেই তা হয়ে দাঁড়ায় বাধ্যতামূলক।

অথচ ২০১৪ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হেলমেট পরেও মাথায় আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাননি হিউজ। ব্যাট করার সময় একটি বল তার ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। করা হয় মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার। কিন্ত দুদিনেও ফেরেনি তার জ্ঞান। বরং সকলকে কাঁদিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এরপর থেকে ঘাড়ের প্রটেকশন নিয়েও বেশ সচেতন হয় ক্রিকেটাররা।
অবশ্য এমন ঘটনার পরেও কিছু ক্রিকেটার এই প্রটেকশন ব্যবহারে অনীহা দেখায়। বিশেষ করে অজি তারকা উসমান খাওয়াজা, স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নারদের মত তারকার ক্রিকেটারদেরও আছে এটি ব্যবহারে অনীহা। এদিকে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে আরেক অজি অলরাউন্ডার গ্রিনের ঘাড়েও একটি বল আঘাত করেছে। ফলে ঘাড়ের প্রটেকশন ব্যবহারে এবার কঠোর অবস্থানের অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হেড অব অপারেশন পিটার রোচ এক এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'মাথা এবং ঘাড় রক্ষা করা আমাদের খেলাধুলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডারদের অনেক বিস্তৃত আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।'
গ্রিনের ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘাড়ের প্রটেকশন নিয়ে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা জানায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট। ফলে ২০২৩/২৪ মৌসুম থেকেই দেশটির সকল নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের জন্য ঘাড়ের প্রটেকশন বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নিয়ম না মানলে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে খেলোয়াড়দের।