তাসকিন-শরিফুলদের দেখে মুগ্ধ সিলভারউড

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অনাকাঙ্খিত সেঞ্চুরিতে তাসকিনের বিব্রতকর রেকর্ড
১৮ মার্চ ২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেটে বয়ে যাওয়া পেস-বিপ্লবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ-মুস্তাফিজুর রহমানরা। কন্ডিশন যেমনই হোক বাংলাদেশের পেসাররা আলো ছড়াবেন এটা যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাসকিন-শরিফুল ইসলামদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ক্রিস সিলভারউড।
একটা সময় ছিল বাংলাদেশের একাদশে পেসারদের তুলনায় স্পিনারদের আধিক্য বেশি ছিল। সেই সময়টা এখন অতীত। বর্তমান সময়ে পেসাররা নিজেদের এতটাই বদলে ফেলেছেন যে তাদের ছাড়া একাদশ কল্পনাই করা যায় না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়, সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ জয়, ঘরের মাঠে এক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের সব উইকেট তুলে না, সবই ঘটেছে পেসারদের কল্যাণে।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের পেসারদের উন্নতির গ্রাফটা বেড়েই চলেছে। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে পেসারদের পরিসংখ্যানে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশ। গড়ের হিসেবে বাংলাদেশের তাসকিন, হাসান, মুস্তাফিজদের চেয়ে ভালো বোলিং করেছেন কেবল শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফরা। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ২৯ ম্যাচে ১৬৩ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের পেসাররা।

আফ্রিদি-রউফরা উইকেট নিয়েছেন ২৭ গড় এবং ২৯.৩৮ স্ট্রাইক রেটে। দুইয়ে থাকা বাংলাদেশের নামটা দেখে চমকেই উঠার কথা। এই সময়ে ৪৫ ম্যাচ খেলে তাসকিনরা নিয়েছেন ১৮৯ উইকেট। যেখানে বাংলাদেশের পেসাররা উইকেট নিয়েছেন ২৮.৩৩ গড় ও ৩১.৫৫ স্ট্রাইক রেটে। এবারের এশিয়া কাপে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে না পারলেও একেবারে খারাপ করেননি তাসকিন-শরিফুলরা।
বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণকে শক্তিশালী আখ্যা দিয়ে সিলভারউড বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ দারুণ একটা বোলিং ইউনিট পেয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত যা দেখেছি তাই মনে হয়েছে। আমি তাদের বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়েছি, বিশেষ করে পেস বোলারদের দেখে।’
‘তারা বড় মাপের পেসার, তারা শক্তিশালী, তারা অ্যাকুরেট এবং তারা মুভমেন্ট পাচ্ছে। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত আছি এবং এটা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের দলের প্রত্যেক ব্যাটা কিভাবে তাদের দলের প্রত্যেক বোলারকে কিভাবে মানিয়ে নেয়।’
পাল্লেকেলে শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। ক্যান্ডির তুলনায় কলম্বোর উইকেট খানিকটা ধীরগতির। কলম্বোতে খানিকটা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন বোলাররা। দারুণভাবে প্রস্তুত হয়ে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের সেরা কম্বিনেশন নিশ্চিত করতে চান শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সিলভারউড বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে বেশ ভালোভাবে দেখছি এবং তারা বেশ ভালো প্রস্তুত নিচ্ছে। ক্যান্ডির সঙ্গে তুলনা করলে এটা ভিন্ন রকম উইকেট। আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের কম্বিনেশন এই উইকেটের জন্য সঠিক।’