বন্ধ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট
.jpg)
ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হার
১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫
বেশ কিছুদিন ধরেই শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো নিয়ে মতবিরোধ চলছে বোর্ডের মধ্যে। এবার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বন্ধই হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট। ২০২১ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য বোর্ডের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল দ্বন্দ্ব।
সেই সময় দুই স্তরের কাঠামো বাতিল করে দুই গ্রুপে ১৩টি দল নিয়ে তিন দিনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুপারিশ করেছিল অরবিন্দ ডি সিলভার নেতৃত্বাধীন বোর্ডের কারিগরি কমিটি। তারা প্রস্তাব দিয়েছিলেন দুই গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে থাকা দুটি করে দল পরবর্তী দুই বছরের জন্য অবনমিত হবে। আর তৃতীয় বছর থেকে অবনমিত দলের সংখ্যা হবে তিনটি।
এর ফলে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলা দলের সংখ্যা নেমে আসত ১৫টিতে। এর ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বাড়ত বলে দাবি ছিল তাদের। যদিও এই প্রস্তাব মেনে নিলে অবনমিত হওয়া দলগুলো তিন দিনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারত না।

অবনমিত হওয়া দলগুলোর খেলতে হত নিচের সারির লিগ গভর্নর্স ট্রফি নামের সীমিত ওভারের টুর্নামেন্টে। এ কারণেই বেশ কয়েকটি দল এই প্রস্তাবে রাজি ছিল না। সেই দাবির প্রেক্ষিতেই গত ১৭ জুন লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভোট চাওয়া হয় পক্ষে বিপক্ষে।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের টানা ৪ হার, জিতল গুলশান
১৩ মার্চ ২৫
সবার সম্মতিতেই মেজর ক্লাব তিন দিনের টুর্নামেন্ট ও 'বি' স্তরের আমন্ত্রণমূলক ক্লাব তিন দিনে টুর্নামেন্ট শুরু হয়। 'বি' স্তরের টুর্নামেন্টে কোন কোন দল অংশ নেবে সেটাও ঠিক করে দেয় লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। তারা গভর্নর্স ট্রফির শীর্ষ ছয়দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু এই কাঠামোর প্রতিবাদ জানায় পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থাকা গেস্টো ক্রিকেট ক্লাব (জিসিসি)। নতুন কাঠামোর কারণে তারা শীর্ষ লিগে খেলার যোগ্যতা হারায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে তারা। এই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত নিয়ে যায় এই ক্লাবটি।
যদিও আদালতের রায় গেস্টো ক্লাবের পক্ষে না গেলে টুর্নামেন্টটি নিয়ম মতোই চলছিল। এরপর তারা বিষয়টি নিয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে যায়। সে সময় দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী রোশান রানাসিংহে এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন এবং দায়িত্ব দেন মন্ত্রণালয়ের পরিচালককে। ২৫ আগস্ট এই ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি আসে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে।
যেখানে স্পষ্ট ভাষায় লিখা ছিল লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধানে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। এরপর মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চাইলে সেখান থেকে কোনো সাড়া দেয়া হয়নি। এ কারণেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সব ধরনের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট।