উইকেটরক্ষক হিসেবে বিশ্বকাপে ইশানকে চান সৌরভ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইয়ারকে সব ফরম্যাটে দেখতে চান সৌরভ
২৬ মার্চ ২৫
ভারতের বিশ্বকাপ মিশনের সব থেকে বড় চিন্তা মিডল অর্ডারকে ঘিরে। পাশাপাশি বিশ্বকাপে উইকেটরক্ষক হিসেবে কে খেলবেন সেটা নিয়েও রয়েছে নির্বাচকদের মাথাব্যথা। ভারতের প্রথম পছন্দ ছিল ঋষভ পান্ত এবং লোকেশ রাহুল। ইনজুরির কারণে যারা দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে। বর্তমানে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন ইশান কিশান। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি ইশানকেই চান বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।
উইকেটের পিছনে ভারতের প্রথম পছন্দ ছিলেন পান্ত। কিন্ত গত বছরের ডিসেম্বরে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকেই মাঠের বাইরে তিনি। এ ছাড়া গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ৯ ইনিংসে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩২১ রান করেন আরেক উইকেটরক্ষক রাহুল। তবে আইপিএলে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে দীর্ঘ সময় তিনিও মাঠের বাইরে।

পথটা এখানেই সুগম হয় ইশানের, ২০২২ সালের পর থেকেই ছিলেন ওয়ানডে দলের নিয়মিত মুখ। ১৭টি ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত ৪৬.২৬ গড়ে করেছেন ৬৯৪ রান, যার মধ্যে রয়েছে একটি ডাবল সেঞ্চুরি। ভারতের জন্য ব্যাট হাতে বিশ্বাসটাও অর্জন করেছেন এই ব্যাটার। ফলেই বিশ্বকাপে ইশানকেই দেখতে চান সৌরভ।
‘রিজওয়ানের মতো অহেতুক আবেদন করলে আউট পাবে না’
২৭ মার্চ ২৫
সৌরভ বলেন, 'পান্ত দেশের সেরা উইকেটরক্ষক, কিন্তু আপনি ইশান কিশান, কেএল রাহুল (তার ফিটনেসের উপর নির্ভর করে) দেখতে পাচ্ছেন। এই দুজন অবশ্যই রোহিত এবং রাহুলের (দ্রাবিড়) পরিকল্পনায় থাকবে। তবে আমি ইশান কিশানকে পছন্দ করি। কারণ সে যে কোনও দলের বিপক্ষে ভালো সূচনা এনে দিতে পারবে। আমি নিশ্চিত দ্রাবিড় তাকে নিজের পরিকল্পনায় রাখবে।'
অবশ্য রাহুল এখনও দলে ফিরতে পারেনি। আজ ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) তিনি একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবেন। দলের আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ারও থাকবেন সেই ম্যাচে। যা তাদের এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। তবে ইনজুরি থেকে রাহুল ফিরলেও ভারতের সাবেক হেড কোচ রবি শাস্ত্রীও ইশানকেই দলে দেখতে চান।
ইশানকে নিয়ে শাস্ত্রী বলেন, 'দেখুন যখন আপনি এমন একজন খেলোয়াড়ের (লোকেশ রাহুল) কথা বলছেন যিনি দীর্ঘ সময় খেলেননি এবং মাত্র চোট থেকে সেরে উঠেছেন। এশিয়া কাপের একাদশেও তাকে ভাবছেন, তখন আপনি তার কাছ থেকে একটু বেশি কিছুই চাচ্ছেন। তার উপর আপনি উইকেট কিপিংয়ের কথা বলছেন। কেউ যখন ইনজুরি থেকে উঠে আসে, তখন নড়াচড়া করার পরিধিও কমে আসে। তাই সে কোনোভাবেই না..না (স্কোয়াডে থাকতে পারে না)।'