‘হেরে যাওয়া’ হার্দিকের দলে অশ্বিনের পূর্ণ সমর্থন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘অশ্বিন বল হাতে নিলে গেইলের পা কাঁপতো’
২০ মার্চ ২৫
টেস্ট সিরিজ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শুরু করেছিল ভারত। ওয়ানডে সিরিজেও জয় পায় তারা, তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরে বসে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের ছাড়া দলটি। এরপর থেকেই সমালোচনা শুরু হয় তারুণ্যের শক্তিতে গড়া দলটিকে নিয়ে। এবার তাদের সমর্থনে কথা বলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
টি-টোয়েন্টিতে রোহিত-কোহলিদের ছাড়াও ভারত শক্তিশালী দল, তবে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয় হার্দিক পান্ডিয়াদের। অবশ্য পরের দুই ম্যাচেই জয় দিয়ে সিরিজ সমতায় ফিরেছিল তারা। কিন্ত সিরিজ নির্ধারণি ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ৮ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজ হাত ছাড়া হয়।

এমন হার মেনে নিতে পারেনি ভারতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট ভক্তরা। শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলটিকে নিয়ে সমালোচনা। বলা হয় বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারা দলের বিপক্ষে হারের কথা। সেই সকল সমালোচকদের এবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জবাব দিলেন অশ্বিন। দল হারলেও ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।
‘সুপার ফ্লপ রোহিতের অবসরের সময় হয়ে গেছে’
১৮ ঘন্টা আগে
অশ্বিন বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের (ভারত) সমালোচনা করা সহজ। কারণ তারা এমন একটি দলের কাছে হেরেছে যারা শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবং আসন্ন ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। কিন্ত একজন যুবক হিসেবে, আপনি যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবেন সেখানে আপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করবে। সব দেশেই কিছু নিজস্বতা আছে, যা স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়রাদের তুলনায় সফরকারী দল কম জানবে, বিশেষ করে তরুণরা।'
এ সময় অশ্বিন নিজের ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মত দেশে খেলার অভিজ্ঞতার কথা জানান। এ সকল দেশে প্রথমবার খেলতে যাওয়ার পর তিনি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। যার জন্য তাকে নতুন করে অনেক কিছু শিখতে হয়েছিল। যা তাকে পরবর্তীতে সফল বোলার হতে সাহায্য করেছিল।
নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে অশ্বিন আরও বলেন, 'যখন আমি প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম, তখন আমাকে অনেক ছোট ছোট জিনিস শিখতে হয়েছিল। আমি প্রথম ২০১১ সালে স্পিনার হিসাবে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম। তখন আমি লাল বলের ক্রিকেট সম্পর্কে কেবল একটি ব্যাপারই জানতাম।'
'আমার কোচ আমাকে শিখিয়েছিল যে একজন ব্যাটার যদি ভালো ছন্দে থাকে এবং আপনি একটি কঠিন স্পেলের মধ্য দিয়ে যান, তাহলে আপনি নিজের স্পিনের গতি আরও বাড়িয়ে দিন। আমি স্পিন বাড়িয়েছি এরপর আরও বাড়িয়েছি, তাতে শুধু চার আর ছক্কা হজম করেছি। নিজের প্রথম সফরে আমি এটাই শিখেছি। এরপর আমি এরপর আমি ক্রিকেটে আরও অভিজ্ঞ হয়ে উঠি।'