হৃদয়ের ছক্কা দেখে অবাক হয়েছিলেন মিলার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মোহামেডানের নেতৃত্বে এবার মাহমুদউল্লাহ
১৬ এপ্রিল ২৫
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) এবার দাপুটে পারফরম্যান্স করেছেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি জাফনা কিংসের হয়ে ৬ ইনিংসে ৩৮.৭৫ গড় ও ১৩৫.৯৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ১৫৫। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের এই তরুণ ব্যাটার।
গত ৪ আগস্ট সাকিব আল হাসানের দল গল টাইটান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল হৃদয়ের জাফনা। সেই ম্যাচে সাকিবকে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে অভিনব এক শটে ছক্কা মেরেছিলেন হৃদয়। সেই শটটি অবাক করেছিল সবাইকে। হৃদয় জানিয়েছেন ম্যাচের পর সবাই তাকে এই শটের বিশেষত্ব জানতে চেয়েছিলেন।
বুধবার সকালেই শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরেছেন হৃদয়। ফিরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই ব্যাটার নিজের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন। সেই কথায় উঠে এসেছে সাকিবকে মারা সেই শটের গল্পও।

হৃদয় বলেছেন, ‘মিলার আমাকে বারবার অ্যাপ্রিসিয়েট করছিল। বিশেষ করে আমি সাকিব ভাইকে যে ছক্কাটা মেরেছিলাম, শুধু মিলার নয়, পুরো টিম বলছিল, এটা আসলে কী শট (হাসি)! মিলার বলছিল, এটা শট অব দ্য ডে। ম্যাচ শেষেও মিলার অনেক কথা বলেছে আমার ব্যাটিং নিয়ে। সে আমার কাছ থেকে শুনেছে আমি কীভাবে কী করি।’
হৃদয়ের সঙ্গে একই দলে খেলেছেন ডেভিড মিলার ও শোয়েব মালিক। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব শিখেছেন হৃদয়। বিশেষ করে প্রোটিয়া তারকা মিলারের সঙ্গে কথা বলে বেশ আনন্দিত এই ডানহাতি ব্যাটার।
তিনি বলেন, ‘ভালো লেগেছে তার সঙ্গে কথা বলে। সে লিজেন্ড। আমিও চাচ্ছিলাম মিলারের সঙ্গে একটু কথা বলি। কিন্তু সাহসটা পাচ্ছিলাম না। পরে দেখেছি ও-ই আমার সঙ্গে কথা বলেছে। তারপর সব সময় চেষ্টা করেছি ওর সঙ্গে কথা বলার। ওর কাছ থেকে যতটা নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করেছি।’
জাফনার অধিনায়ক ছিলেন থিসারা পেরেরা। এই লঙ্কান ক্রিকেটারের সঙ্গে এর আগেও খেলেছেন হৃদয়। গেল বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলেছিলেন তারা। জাফনার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়েনও। ফলে হৃদয়ের মানিয়ে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
হৃদয় বলেছেন, ‘থিসারা ছিলেন, মারিও (ভিল্লাভারায়েন, বাংলাদেশ দলের সাবেক ট্রেনার) ছিলেন, আমার সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছে এমন কয়েকজন ছিল। আমার মনে হয়নি যে আমি ওখানে একা। সব সময় ওরা আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমিও চেষ্টা করেছি সেরাটা দেওয়ার।’