‘আজকে যাারা ট্যালেন্ট বলছে খারাপ খেললে তারাই কালকে গালি দেবে’

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নারিন-নরকিয়ার পর ব্যাট বদলে বাধ্য হলেন পরাগ
১৭ এপ্রিল ২৫
ডানহাতি লেগ স্পিনের সঙ্গে ব্যাটিংটাও বেশ ভালো পারেন রিয়ান পরাগ। দ্রুত রান তোলার সক্ষমতা থাকায় আইপিএলে তাকে বেশ কদরও করে রাজস্থান রয়্যালস। যদিও কখনই সেভাবে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। সদ্য সমাপ্ত দেওধর ট্রফিতে তাণ্ডব চালিয়েছেন তরুণ এই ব্যাটার। রানের বন্যা বইয়ে দেয়ার পর পরাগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। পরাগ অবশ্য মনে করেন, আজকে যারা প্রতিভাবান আখ্যা দিচ্ছে এক ম্যাচ খারাপ খেললে তারাই গালি দেবে।
আইপিএলের গত আসরে চড়া দামে পরাগকে কিনে নিয়েছিল রাজস্থান। তবে ব্যাট হাতে একেবারে নিষ্প্রভ ছিলেন তরুণ এই ব্যাটার। ৭ ম্যাচ মাত্র ৭৮ রান করেছিলেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সের পর ব্যাপকভাবে ট্রল এবং সমালোচিত হয়েছেন রাজস্থানের এই ব্যাটার। তবে এবারের দেওধর ট্রফিতে ব্যাট-বলে আলো ছড়িয়েছেন পরাগ।

মাত্র ৫ ম্যাচ খেলে সবার চেয়ে বেশি ৩৫৪ রান করেছেন তিনি। যেখানে দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ফাইনালে খেলা ৯৫ রানের ইনিংস। বল হাতে পরাগের শিকার ১১ উইকেট। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়া ক্রিকেটাররা তাই প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সমর্থকরা কিংবা ক্রিকেট অনুরাগীরা। পরাগ অবশ্য মনে করেন, এক ম্যাচ খারাপ খেললেই বদলে যাবে দৃশ্যপট।
টান টান উত্তেজনার ম্যাচে বল হাতে লক্ষ্ণৌকে জেতালেন আবেশ
২০ ঘন্টা আগে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরাগ বলেন, ‘দেওধর ট্রফিটা আমার দারুণ কেটেছে। এখন মানুষ বলছে কী প্রতিভা! কাল আমি একটা ম্যাচে ব্যর্থ হই তখন আবার মানুষ আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলছে। এসব বাজে ট্রল নিয়ে ভাবার কোন মানে নেই। কেউ আমার কাছে এসে বসে বলে না আসলে আমাকে নিয়ে তাদের কি সমস্যা।’
বয়সে তরুণ হওয়ায় মাঠে বরাবরই চঞ্চল পরাগ। মাঠে থাকা বেশিরভাগ সময়ই চুইংগাম চিবান, জার্সির কলার উঁচিয়ে রাখেন, এমনকি স্লেজিং পটু তরুণ এই ব্যাটার। নিয়মিত পারফর্ম করতে না পারায় সমর্থকদের অনেকে এটি নিয়ে ট্রল করেন।
এই প্রসঙ্গে পরাগ বলেন, ‘আমি চুইংগাম চিবাই এটা মানুষের সমস্যা। যদি আমি কলার উঁচিয়ে রাখি সেটাও তাদের সমস্যা। ক্যাচ নেয়ার পর যদি আমি উদযাপন করি সেটাতেও তাদের সমস্যা। আমি গেইম খেলছি, অবসর সময়ে গলফ খেলছি এটা নিয়ে তাদের সমস্যা আছে।’
‘মানুষ আমাকে কেন দেখতে পারে না সেটা নিয়ে আমার একটা ধারণা হয়েছে। এখানে একটা নিয়মের বই আছে যে কিভাবে ক্রিকেট খেলা উচিত। টি-শার্ট আটকানো থাকা, কলার নামিয়ে রাখা, সবাইকে সম্মান দেয়া, কাউকে স্লেজিং না করা। আমি আসলে একেবারে বিপরীত।’