ব্রডের বিদায়ে শূন্যতা তৈরি হয়েছে অ্যান্ডারসনের

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নাইটহুড পাচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন
১২ এপ্রিল ২৫
ইংল্যান্ডের তো বটেই ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই পেসার জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দেড় দশকের বেশি সময় ইংলিশদের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা দুজন। অ্যাশেজের ওভাল টেস্ট দিয়ে শেষ হয়ে গেছে তাদের দুজনের জুটি। ব্রডের বিদায় শূন্যতা তৈরি করেছে অ্যান্ডারসনের। ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা নিজের কলামে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
নিত্যদিন চোটের সঙ্গে লড়াই করে ইংল্যান্ডের হয়ে লড়েছেন ব্রড ও অ্যান্ডারসন। পেসার হওয়ার পরও টেস্টে ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে বড় একটা কারণ সীমিত ওভারে খুব বেশি ম্যাচ না খেলা। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে রঙিন পোশাকের ক্রিকেট খেলতে যেন ভুলেই গেছেন তারা দুজন।
২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথমবার একসঙ্গে খেলেছিলেন অ্যান্ডারসন ও ব্রড। দুজনে একসঙ্গে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১৩৮ ম্যাচ। ক্যারিয়ারে দুজন একসঙ্গে খেলে নিয়েছেন ১ হাজার ৩৯ উইকেট। জুটি হিসেবে এক হাজার উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে কেবল শেন ওয়ার্ন ও গ্লেন ম্যাকগ্রার। তারা দুজনে মিলে নিয়েছেন ১ হাজার ১ উইকেট।

ইংল্যান্ডের অনেক স্মরণীয় জয়ের নায়ক ব্রড-অ্যান্ডারসন জুটি। নতুন বলে বরাবরই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলতেন তারা দুজন। তবে আর কখনও ক্রিকেট মাঠে বল হাতে দৌড়াতে দেখা যাবে না এই জুটিকে। ব্রডের অবসরে ভেঙে গেছে তার দুজনের জুটি।
ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে স্টোকসকে চান না ব্রড
১৪ মার্চ ২৫
রূপকথার মতই শেষ হয়েছে ৬০৪ উইকেটে সাজানো ৩৭ বছর বয়সি ব্রডের টেস্ট ক্যারিয়ার। টড মার্ফি ও অ্যালেক্স কেরির উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ৪৯ রানের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচের চতুর্থ দিন ব্যাট হাতে শেষবার মাঠে প্রবেশ করার সময় কিংবদন্তী এই বোলারকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা গার্ড অফ অনারের মাধ্যমে মাঠে আমন্ত্রণ জনায়। এমন সময় সঙ্গী হিসাবে পেয়েছেন সেই অ্যান্ডারসনকেই।
ব্রডের বিদায় নিয়ে অ্যান্ডারসন ডেইলি টেলিগ্রাফে নিজের কলামে লিখেছেন, ‘স্টুয়ার্ট পেশাদার স্তরে আমার জন্য একটি বড় শূন্যতা তৈরি করেছে। আমরা তখন এটা বুঝতে পারিনি যখন আমরা ছোট ছিলাম। আমরা প্রতিযোগিতায় ছিলাম। এই প্রতিদ্বন্দ্বীতার মাধ্যমেই আমাদের মান বাড়িয়েছিলাম।’
শুধুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাই নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একে অপরের কোচ হিসাবেও কাজ করেছেন তারা। একজনের খারাপ সময়ে আরেকজন সাহায্য করেছেন। খেলায় কোনও রকম ভুল হলেও একজন অপরজনকে শুধরে দিতেন। নিজের কলামে এমনটাই বলেছেন ৪১ বছর বয়সী এই পেসার।
অ্যান্ডারসন লিখেছেন, ‘যখন আমরা একসাথে খেলা শুরু করি, তখন আমরা একে অপরের পরিপূরক বনে গিয়েছিলাম। আমরা কীভাবে উইকেট নিতে পারি, সেই বিষয়ে একে অপরকে সাহায্য করাতাম। সময় যত গেছে, আমরা যত খেলায় অংশ নিয়েছি। আমি তার তার কোচ হয়েছি এবং সে আমার।’
‘অনুশীলন হোক বা ম্যাচে, সে মিড অফে দাঁড়িয়ে আমার অ্যাকশন দেখছে এবং বলছে, সম্ভবত তুমি খুব দ্রুত দৌড়াচ্ছো। অথবা তুমি কি এটা বা সেটা করার চেষ্টা করেছেন? এটা বিশাল একটি সহযোগিতা ছিল। এটি এমন কিছু যা আমি অবশ্যই মিস করব।’