পিসিবির ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান জাকা আশরাফ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নারী বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশকে যা করতে হবে
১৮ এপ্রিল ২৫
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান নির্বাচন প্রক্রিয়া ও গভর্নিং বোর্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাকিল শেখ ও গুল যাদা। দুজনই পিসিবির ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বিষয়ে তারা হাই কোর্টে তারা রিট আবেদন করেছেন। পিসিবির পরবর্তী নির্বাচন যখন আইনি জটিলতায়, তখনই দশ সদস্যের ম্যানেজমেন্ট কমিটি দিয়েছে দেশটির সরকার। যেখানে প্রধান হিসেবে আছেন জাকা আশরাফ।
বাকি সদস্যরা হলেন কলিম উল্লাহ খান, আশফাক আখতার, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ইসলাম, আজমত পারভেজ, জহির আব্বাস, খুররম করিম সোমরো, খাওয়াজা নাদিম, মুস্তফা রামদায়, এবং জুলফিকার মালিক।

এদিকে লাহোর হাই কোর্টে পিসিবির গভর্নিং বোর্ড ও চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে দুটি রিটেরই একটি করে শুনানি হয়েছে। গত ২৭ জুন চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল পিসিবির। শাকিল ও গুলের আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে পিসিবির নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়েছে।
আর তাই এই নির্বাচনও পিছিয়ে গেছে। কদিন আগেই পিসিবির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন নাজাম শেঠি। এরপরই আলোচনায় আসে জাকা আশরাফের নাম। ধারণা করা হচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন আশরাফ।
পিসিবি নির্বাচন কমিশনার এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ শাহজাদ ফারুক রানা। নির্বাচনের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সমর্থন নিয়েই চেয়ারম্যান পদে বসতে যাচ্ছিলেন আশরাফ।
এর আগেও পিসিবির দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে আশরাফের। এবার তিনিই স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন শেঠির। তবে সেটি বাধাগ্রস্ত হতে যাচ্ছে আইনি চ্যালেঞ্জের কারণে। রমিজ রাজাকে সরিয়ে দেয়ার পর পিসিবির দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়ে শেঠির হাতে।
পিসিবির গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী, দশ সদস্যের কমিটি নিয়ে প্রতিবার নির্বাচিত করা হয় পিসিবির বোর্ড। চারজন আঞ্চলিক প্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠনের চার প্রতিনিধি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে দুই কর্মকর্তা নিয়ে পুরো বোর্ড গঠন করা হয়ে থাকে। এবারও একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।