|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আরো পড়ুন

বাংলাদেশেও অনার্স বোর্ড চান মিরাজ

২ ঘন্টা আগে

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন শন উইলিয়ামস। গ্রুপ পর্বে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়ের সুপার সিক্সে খেলা নিশ্চিত করেছেন জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার। সুপার সিক্সে প্রথম ম্যাচেও হাসল উইলিয়ামসের ব্যাট। তার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ভড় করে ওমানকে ১৪ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এই জয়ের ফলে জিম্বাবুয়ের ঝুলিতে রয়েছে ৬ পয়েন্ট। আর তাতেই বিশ্বকাপের মূল আসরে খেলার খুব কাছে চলে গেছে দলটি। বাকি দুই ম্যচের একটিতে জিতলেই ভারত বিশ্বকাপের টিকিট পাবে তারা। এই হারের ফলে বিশ্বকাপের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল ওমানের। 

এই ম্যাচে ৩৩৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৯ রানে ওপেনার জতিন্দার সিংকে হারায় ওমান। এরপর ক্যাশ্যাপ প্রজাপতি ও আকিব ইলিয়াস মিলে ওমানের হাল ধরেন। এই দুজনে যোগ করেন ৮২ রান। আকিব হাফ সেঞ্চুরি করার আগেই বক্তিগত ৪৫ রান করে ফেরেন।

এরপর অধিনায়ক জিসান মাসুদকে নিয়ে ওমানকে টেনেছেন প্রজাপতি। অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি জিসান। তিনি পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ের থিতু হওয়ার পর। এরপর আকিব ইলিয়াস তাকে দারুণ সঙ্গ দেন। দারুণ সব বাউন্ডারিতে দলের রান রেটের চাপ সামলে রাখেন তিনি।

প্রজাপতি ১০৩ রান করে আউট হয়ে গেলে। জয়ের খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হতে হয় ওমানকে। শেষদিকে আয়ান খান ৪৩ বলে ৪৭ ও মোহাম্মদ নাদিম ১৮ বলে ৩০ রান করে কেবল জয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান করতে সক্ষম হয় ওমান।

এর আগে টস হেরে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়েকে সাবধানী শুরু এনে দেন জয়লর্ড গাম্বি ও ক্রেইগ আরভিন। দলীয় ৪৬ রানে আউট হয়ে যান ক্রেইগ আরভিন। আর গাম্বি ২১ রান করে আউট হয়ে ফেরার পর কিছুটা চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। 

এরপর ওয়েসলি মাধেভেরেকে নিয়ে ৬৪, সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ১০২ রানের জুটির পর রায়ান বার্লকে নিয়ে ৪১ রান যোগ করে জিম্বাবুয়ের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন উইলিয়ামস। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পরও আরও মারমুখী হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১০৩ রান করে ১৪২ রানের ইনিংস খেলেন।

তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৩টি ছক্কা ও ১৪টি চারের মার। উইলিয়ামস ফিরে যাওয়ার পর শেষ দিকে ২৮ বলে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিও খেলেন লুক জংউই। আর তাতেই বড় ইনিংস গড়তে কোনো সমস্যাই হয়নি জিম্বাবুয়ের।