পক্ষে সিদ্ধান্ত দিতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা চাপ দেয়: নীতিন মেনন

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারতের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরলেন আইয়ার-কিশান, শীর্ষে কোহলি-রোহিত
১৯ ঘন্টা আগে
ভারতের একমাত্র এলিট প্যানেলের আম্পায়ার নীতিন মেনন। গত কয়েক বছরের ভারতের মাটিতে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন তিনি। এবার চলতি অ্যাশেজে আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এমন উত্তাপে ভরা একটি সিরিজে আম্পায়ারিং করা যে কারোর জন্যই কঠিন। অবশ্য নীতিন মেনন জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটারের সামনে আম্পায়ারিং করা আরও কঠিন।
এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। অনেক সময়ই আম্পায়াররা স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পেরে ফিফটি-ফিফটি পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে রায় দেন। এমন চাপেও আম্পায়াররা নিজেদের কাজে মনোনিবেশের চেষ্টা করেন বলে জানালেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মেনন ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'ভারত যখন নিজেদের মাটিতে খেলে তখন ম্যাচে অনেক উত্তেজনা থাকে, ভারতীয় দলে অনেক বড় তারকা রয়েছে, তারা সবসময় আপনার ওপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করবে, যাতে ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্তগুলো নিজেদের পক্ষে নিতে পারে। তবে এমন চাপের সময়, আমরা নিজেদের ওপর মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করি। ফলে তারা কি করার চেষ্টা করছে, সেদিকে আমরা আমরা পাত্তা দেই না।'
এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই ভালো আম্পায়ার হয়ে উঠেছেন মেনন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'এ রকম চাপের পরিস্থিতিতে নিজেকে সামাল দেওয়ার ব্যাপারটি আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। দেশের মাটিতে ভারতীয় আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক প্যানেলকে নেতৃত্ব দিতে পারার বিষয়টিও অত্যন্ত বড় ব্যাপার। শুরুতে আমার তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু শেষ তিন বছরে আম্পায়ার হিসেবে আমি আরও ভালো হয়েছি, পরিপক্ক হয়েছি।'
আম্পায়ারিংয়ের শুরুতে বিদেশের মাটিতে কোনো ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পাননি তিনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে বিদেশের মাটিতে আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ হয় নীতিনের। সেই অভিজ্ঞতার সুবাদেই এবার তার জন্য খুলে গেছে অ্যাশেজের দুয়ার। সবকিছু ঠিক থাকলে অ্যাশেজের তৃতীয় ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার হিসেবে মাঠে নামবেন তিনি। এরপর পঞ্চম ও শেষ টেস্টে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন এই ভারতীয়।
নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে নীতিন বলেন, ‘প্রথম দুই বছরে ভারতীয় উপ-মহাদেশে আম্পায়ারিং করতে পারার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত। টেস্ট ম্যাচ খেলিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এবং দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ পরিচালনা করেছি। আমি অনেক সেরা আম্পায়ার এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করেছি, যা আমার আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা আরও সম্প্রসারণ করেছে। নিজের চরিত্রের বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। বুঝতে পেরেছি যে চাপের মধ্যে কীরকম আচরণ করি আমি। অনেক ইতিবাচক দিকের সন্ধান পেয়েছি।’