চাইলেই এতো বড় ব্যবধানে জেতা যায় না: লিটন

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশেও অনার্স বোর্ড চান মিরাজ
১২ ঘন্টা আগে
সিরিজের একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে রানের হিসেবে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বড় জয়। সবমিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে জয়ের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের এই জয়। এমন জয় যে সবসময় সম্ভব নয়, ম্যাচ শেষে এ কথা অকপটেই স্বীকার করেছেন লিটন দাস।
এর আগে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে চট্টগ্রামে ২২৬ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে সেটিই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এদিকে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাওয়া এই জয় টেস্ট ক্রিকেটে শেষ ৮৯ বছরে সবচেয়ে বড়।
১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়া দ্য ওভালে ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারিয়েছিল। যদিও এটা টেস্ট ক্রিকেটে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় নয়। ১৯২৮ সালে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭৫ রানে হারিয়েছিল। এটি এখানো টেস্ট ক্রিকেটে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। আর তাই বাংলাদেশের এই কীর্তি সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের তালিকায় রয়েছে তৃতীয় স্থানে।

ম্যাচ শেষে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন বলেন, 'চাইলেই তো এতো বড় ব্যবধানে জেতা যায় না, কৃতিত্ব তো সবাইকে দিতেই হবে। এটা একটা বড় অর্জন, এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আপনি অধিনায়ক হিসেবে চাইতেও পারেন না, আমি অনেক খুশি।'
আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পরিকল্পনা বিসিবির
১৪ মার্চ ২৫
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান তোলে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ৭৬ রানের ইনিংসে এই সংগ্রহ পায় তারা। জবাবে ১৪৬ রানেই অলআউট হয় আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে চারটি উইকেট নেন এবাদত। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল, তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তারপর আফগানিস্তানকে ফলোঅনে না পাঠিয়ে আবারও ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এবারও সেঞ্চুরি আসে শান্তর ব্যাটে।
তার ১২৪ এবং মুমিনুল হকের অপরাজিত ১২১ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। আফগানদের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৬২ রানের। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই বাংলাদেশের দেয়া সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য। আগেরটি ২০২১ সালে। সেবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ।
৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৫ রানেই গুঁটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে ৩৭ রান খরচায় চার উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ২৮ রান খরচায় তিন উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।