হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে গেছি: রাহুল

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে হারের কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না লোকেশ রাহুল। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়কের মতে, হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটি হেরে গেছে তার দল। যার কারণে দুই পয়েন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ অনেক বেশি রাহুলের।
আইপিএলের ম্যাচে গত শনিবার অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়ামে ২০ ওভারে ১৩৫ রান তোলে গুজরাট। রান তাড়ায় লক্ষ্ণৌ অবশ্য ঝড় তোলেনি, যদিও শুরু থেকেই ম্যাচটি তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
উদ্বোধনী জুটিতেই দলটি তোলে ৫৫ রান। পরের জুটিতেও পঞ্চাশের বেশি রান তোলে রাহুলরা। অধিনায়ক নিজেই ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। ম্যাচের ১৪ ওভার শেষে লক্ষ্ণৌর রান ছিল কাইল মেয়ার্সের উইকেটে হারিয়ে ১০৫। শেষ ৩৬ বলে মাত্র ৩১ রান লাগত তাদের, হাতে উইকেট ৯টি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাস্তবতায় কয়েক ওভার হাতে রেখেই এমন ম্যাচ জিতে দলগুলো। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা গেল লক্ষ্ণৌর হোম গ্রাউন্ডে। শেষ ছয় ওভারে কোনো বাউন্ডারি পায়নি হোম টিম। ম্যাচটি তারা হারে ৭ রানে!
এমন হারের পর রাহুল বলেন, 'আমি জানি না, এটা কীভাবে হয়ে গেল…সবকিছু এত দ্রুত হলো। তবে হ্যাঁ, এটিই ক্রিকেট। এটা আমাদেরকে আবার মনে করি দিল যে, শেষ বলটি না হওয়া পর্যন্ত খেলা জেতা যায় না।'
'এখনও আমি সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না কোথায় ভুলটা হলো। তবে, যা হওয়ার হয়ে গেছে, আমরা দুটি পয়েন্ট হারিয়েছি। ম্যাচ আমাদের মুঠোয় ছিল, কিন্তু আমরা ফেলে দিয়েছি।'
১৫তম ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়া আউট হয়ে যান ২৩ বলে ২৩ রান করে। এই অলরাউন্ডারকে ফেরানোর পর নিকোলাস পুরানকেও ফেরান ১৮ বছর বয়সী আফগান বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার নূর আহমেদ।
ম্যাচের ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ শামির বোলিংয়ে আসে মাত্র ৫ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রান লাগত লক্ষ্ণৌর। কিন্তু মোহিত শর্মার দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ফিরে যান রাহুল (৬১ বলে ৬৮) ও মার্কাস স্টয়নিস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরেই বসে লক্ষ্ণৌ।
রাহুল আরও বলেন, 'এটা আমাদের এখন মেনে নিতেই হবে। যা হওয়ার হয়েই গেছে। শেষ পর্যন্ত খেলাটা ক্রিকেট, এই ধরনের ব্যাপার এখানে হয়। যদিও এটা অন্তত কিছু সময় হলেও আমাদের তাড়া করবে। তবে আমরা চেষ্টা করব শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে।'
আরো পড়ুন
লক্ষ্ণৌকে হারিয়ে দিল্লির আটে ছয়
২২ এপ্রিল ২৫
