নিজেদের মাঠে ‘নিষিদ্ধ’ হতে পারে কোহলির বেঙ্গালুরু

ছবি: বিরাট কোহলি, ফাইল ফটো

এই ঘটনার জেরে আরও বড় ধাক্কা খেতে যাচ্ছে বেঙ্গালুরু। তদন্ত শেষে এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে বড় ইভেন্ট আয়োজনের অযোগ্য বলে জানিয়েছে বিচারপতি জন মাইকেল কুনিয়ার নেতৃত্বাধীন কমিশন। কর্ণাটক সরকার যদি এই সুপারিশ কার্যকর করে তাহলে ২০২৬ আইপিএলে নিজ মাঠে খেলতে পারবে না কোহলিরা।
‘আসল সময়েই কোহলির বুদ্ধি খুলে যায়’
২০ জুলাই ২৫
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টেডিয়ামের নকশা ও অবকাঠামো গণজমায়েতের জন্য নিরাপদ নয়। স্থানীয় পুলিশ অনুমতি না দিলেও সেদিন বিধান সৌধ থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত বিজয় মিছিল করা হয়। ওই দিন সকালে ফ্র্যাঞ্চাইজির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে কোহলির মাধ্যমে সমর্থকদের উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ডেকান হেরাল্ড জানায় স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা যেখানে ৩২ হাজার, সেখানে সেদিন উপস্থিত হন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি লোকসমাগমে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা, যা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে বিপর্যয় ঘটে। পুলিশ সদস্য সংখ্যাও ছিল খুবই কম— মাত্র ৭৯ জন।
১১ জনের মৃত্যুতে বেঙ্গালুরুকে দায়ী করেছে আদালত
১৮ জুলাই ২৫
কমিশন ভবিষ্যতের জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। এর মধ্যে রয়েছে আলাদা চলাচলপথ, পর্যাপ্ত গেট, গণপরিবহন সংযোগ, পর্যাপ্ত পার্কিং এবং জরুরি বাহন চলাচলের সুযোগ তৈরি। এসব না হলে বড় ইভেন্ট আয়োজন না করার সুপারিশ করা হয়েছে।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ও আইপিএলের খেলা আয়োজন করে আসছে। এটি ১৯৭৪ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কেএসসিএ এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। যদিও এর মালিক কর্ণাটক রাজ্য সরকার, যারা ৯৯ বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে।
তদন্ত কমিশন আরও জানিয়েছে, ওই দিন ভিড় সামলাতে পুলিশের উপস্থিতি ছিল অপ্রতুল। অনেক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে ছিলেন না, যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিরা ভিড়ের মধ্যে ঢুকে নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটায়। এই ঘটনায় ফ্র্যাঞ্চাইজিসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সরকার পরবর্তী মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই সুপারিশগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।