জয়াসুরিয়া-মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল শ্রীলঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

||ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে ‘প্রাণ হারানো’র ভয়ে ছিলেন হাথুরুসিংহে
২১ এপ্রিল ২৫
দিমুথ করুনারত্ন, কুসাল মেন্ডিস, দীনেশ চান্দিমাল ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৯১ রান নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল আয়ারল্যান্ড। তারা দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৭ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে।
তৃতীয় দিন আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংস টিকেছে কেবল ৪৫ বল। দিনের সপ্তম ওভারে তিন বলের মধ্যে লরকান তাকার ও মার্ক অ্যাডায়ারকে সাজঘরে পাঠান আগের দিন ৫ উইকেট নেয়া প্রবাথ জয়াসুরিয়া। এরপর রমেশ মেন্ডিস অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইনকে ফিরিয়ে দিলে আইরিশদের প্রথম ইনিংস থামে ১৪৩ রানে।

ফলোঅনে পড়া আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও বিপর্যয়ে পড়ে। ৪৪৮ রানে পিছিয়ে থাকা আইরিশরা দ্বিতীয় ইনিংসেও লড়াই করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও মারে কামিন্স আউট হয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্দোর শিকার হয়ে। এই আইরিশ ওপেনার দুইবারই শূন্য রানে ফিরেছেন।
রিতুর ব্যাটে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়
১৩ এপ্রিল ২৫
যদিও এক রানে অ্যান্ডি বালবির্নির ক্যাচ ছাড়েন বিশ্ব। অবশ্য এই পেসারই পরে বোলিং করতে এসে বালবির্নিকে আউট করেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। পরপর দুই ওভারে তিনি আউট করেছেন জেমস ম্যাককলাম ও লরকান টাকারকে। এদিন পিটার মুরকে রানের খাতা খুলতে দেননি রমেশ মেন্ডিস।
৪০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন হ্যারি টেকটর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। এই দুজনের ৬০ রানের জুটি ভাঙেন মেন্ডিস। এরপর ৪২ রান করে আউট হন টেক্টর। আর তাতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আইরিশদের ব্যাটিং লাইনআপ।
শেষদিকে ডকরেল ৩২ রান করে শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। ২৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মার্ক অ্যাডায়ার। ইনিংস ও ২৮০ রানে জেতা এই ম্যাচটি টেস্টে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়। এর আগের জয়টি ছিল জিম্বাবুয়ের মাটিতে ইনিংস ও ২৫৪ রানের।
প্রথম ইনিংসে জয়াসুরিয়া ৫২ রান খরচায় নিয়েছেন ৭ উইকেট। এটা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিংও বটে। এর আগে ৫৯ রানে ৬ উইকেট ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পরিসংখ্যান। ম্যাচে ১০ উইকেট অবশ্য এর আগেও একবার নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।