শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহের পর আইরিশদের পরীক্ষা নিলেন জয়াসুরিয়া

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে ‘প্রাণ হারানো’র ভয়ে ছিলেন হাথুরুসিংহে
২১ এপ্রিল ২৫
উপমহাদেশে এসে স্পিন আক্রমণের সামনে পড়তে হবে সেটা বেশ ভালোভাবেই জানা ছিল আইরিশদের। যদিও সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে পেসাররাও ভুগিয়েছিলেন বেশ। তবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলতে নেমে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়েছে আয়ারল্যান্ডকে।
এর আগে ব্যাট হাতে আইরিশ বোলারদের শাসন করছেন ৬ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমা। দীর্ঘ বিরতির পর খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই লঙ্কান ব্যাটার। সেঞ্চুরি পেয়েছেন দীনেশ চান্দিমালও। আর তাতে ভর করেই ৬ উইকেটে ৫৯১ রান নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
আয়ারল্যান্ড দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে। জয়াসুরিয়া একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। আর তাতেই আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ প্রায় ধ্বংসস্তুপ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে লরকান টাকার ২১ ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন ৫ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।

এদিন ৪ উইকেটে ৩৮৬ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। যদিও দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে হয়েছিল নাইটওয়াচম্যান জয়াসুরিয়াকে। সেই ওভারেই ফিরতে পারতেন চান্দিমাল। তিনি ক্যাচ দিয়েছিলে টাকারের হাতে। তবে সহজ ক্যাচ ফেলে চান্দিমালকে জীবন দেন টাকার।
রিতুর ব্যাটে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়
১৩ এপ্রিল ২৫
কয়েক ওভার পরে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আউট হলে গেলেও শ্রীলঙ্কার রান বাড়িয়েছেন চান্দিমাল ও সামারাবিক্রমা। এই দুজনে সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৮৩ রানের জুটি। যা সপ্তম উইকেটে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটির মর্যাদা পেয়েছে। আর তাতেই রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিকরা।
বড় রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিশ্ব ফার্নান্দোর শিকার হয়ে ফেরেন দুই আইরিশ ব্যাটার। মারে কামিন্সকে বোল্ড করার পর অভিজ্ঞ অ্যান্ডি বালবার্নিকে তিনি নিশান মাদুশকার ক্যাচ বানান।
৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আইরিশদের ইনিংস টানার চেষ্টা করেন জেমস ম্যাককলাম ও হ্যারি টেক্টর। তাদের ৭০ রানের জুটি ভাঙেন জয়াসুরিয়া। এই স্পিনারের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন টেক্টর। পরের ওভারে ম্যাককলামকে বোল্ড করে আউট করেন জয়াসুরিয়া।
এক বল পর কাভারে ক্যাচ তুলে দেন কার্টিস ক্যাম্পার। এরপর তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। দিনের শেষ ভাগে টাকার প্রতিরোধ না গড়লে দ্রুতই অল আউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল আইরিশরা। অবশ্য সেটা হতে দেননি টাকার আর ম্যাকব্রেইন।