স্যামসন-হেটমায়ারের টর্নেডোর পরও শেষ হাসি পাঞ্জাবের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চেন্নাইকে হারিয়ে জিতে শেষ করল রাজস্থান
২০ মে ২৫
বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। যদিও সাঞ্জু স্যামসনের ঝড়ো ইনিংস এবং শিমরন হেটমায়ার ও ধ্রুব জুরেলের শেষের টর্নেডোতে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে টিকেছিল তারা। স্যাম কারানের করা সেই ওভারে শেষ হাসি হেসেছে পাঞ্জাব কিংস। রাজস্থানকে পাঁচ রানে হারিয়েছে তারা। এবারের আইপিএলে এটি পাঞ্জাবের দ্বিতীয় জয়।
১৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আনে রাজস্থান। ইয়াশভি জয়সাওয়ালের সঙ্গে এ দিন মাঠে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। যদিও চতুর্থ ওভারের মধ্যেই বিদায় নেন এই দুজন। জয়সাওয়ালকে ১১ এবং অশ্বিনকে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় করেন আর্শদিপ সিং।
ম্যাচের বাকি চ্যালেঞ্জ নিজের দখলে নিয়ে নেন নাথান এলিস। একে একে জস বাটলার, সাঞ্জু স্যামসন, রায়ান পরাগ এবং দেবদূত পাড়িকালকে বিদায় করেন তিনি। তিনে নেমে ঝড় তোলা বাটলারকে ১৯ রানে কট এন্ড বোল্ড করেন তিনি।

তারপর অবশ্য খানিকটা সময় রাজত্ব করেন স্যামসন। যদিও রাজস্থানের দলপতিকে শেষ হাসি হাসতে দেননি এলিস। ২৫ বলে ৪২ করে ফিরে যান স্যামসন। তারপর ১২ বলে ২০ রান করা পরাগকেও ফেরান তিনি। ২৬ বলে ২১ রান করা পাড়িকালকে ফেরান বোল্ড করে।
আইপিএলে কোটি কোটি টাকার পুরষ্কার কারা পেল
৪ জুন ২৫
১৫ ওভারের মধ্যে ১২৪ রান তুলতেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান। যদিও এরপর ম্যাচের মোড় বদলে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান হেটমায়ার এবং জুরেল। ১৮ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৬ রান তুলে শেষ ওভারে গিয়ে রানআউট হন হেটমায়ার।
ফলে ৬ বলে ১৬ রানের সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি রাজস্থান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা জুরেল ১৫ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। যদিও শেষ পর্যন্ত 'ইমপ্যাক্ট' সৃষ্টি করা হলো না তার। ৭ উইকেটে ১৯২ রান তুলে থামে রাজস্থান।
গৌহাটিতে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অসাধারণ সূচনা করে পাঞ্জাব কিংস। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দশ ওভারের মধ্যেই ৯০ রান তুলে ফেলে দলটি। দুই ওপেনার প্রাভসিমরান সিং এবং শিখর ধাওয়ান দুজনই পাল্লা দিয়ে রান তুলে যান।
দশম ওভারে এই জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ তুলে নেন প্রাভসিমরান। দৌড়ে এসে লাফিয়ে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন জস বাটলার। ফেরার আগে তিনি করেন ৩৪ বলে ৬০ রান।
এরপর ভানুকা রাজাপাকশে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে ধাওয়ানের সঙ্গে দলের রান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন জিতেশ শর্মা। ১৬ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২৭ রান করে যুবেন্দ্র চাহালের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
তারপর সিকান্দার রাজা (১), শাহরুখ খানদের (১১) কেউ প্রত্যাশা অনুযায়ী না খেললে দুইশ'র আগেই থামে পাঞ্জাবের ইনিংস। এক প্রান্তে ৫৬ বলে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ধাওয়ান। রাজস্থানের হয়ে দুই উইকেট নেন হোল্ডার।