‘এভাবে খেলতে থাকলে আমরা বড় বড় ম্যাচেও জিতব’

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

আজকে টসে হারাটা আমাদের জন্য শাপেবর হয়েছে। আমার মনে হয় টস জিতলে আমরা ফিল্ডিং নিতাম। আমরা আগে ব্যাটিং পেয়ে অবশ্য ভালো হয়েছে। ওপেনিংয়ে লিটন আর রনি যে অ্যাপ্রোচ দেখিয়েছে সেটা দুর্দান্ত। টি-টোয়েন্টিতে এই অ্যাপ্রোচ না থাকলে আপনি কোনোভাবেই ভালো করতে পারবেন না। এটা আমাদের করতেই হতো। আমরা হয়ত দেরিতে শুরু করছি। এই অ্যাপ্রোচটা যদি আমরা আরও এক বা দু বছর আগে শুরু করতাম তাহলে এখন আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।
ভেন্যু সংকটে পিছিয়ে যাচ্ছে বিসিএল, শুরু ১৫ জুন
১২ এপ্রিল ২৫
ওরা বোলিংটাও এতো ভালো করতে পারেনি। উইকেটটাও আমাদের ফেভারে ছিল। এই অ্যাপ্রোচ যদি থাকে ভালো উইকেটে ভালো দলের বিপক্ষেও আমরা বড় বড় ম্যাচ জিততে পারবো। সত্যি কথা কি লিটন এবং রনি খুবই সুন্দর একটা স্টার্ট করেছে আজকে। লিটন খুব উঁচু মানের প্লেয়ার। সে আমাদের ভবিষ্যৎ। সে অনেকদিন থেকেই ভালো করছে। শেষ বিশ্বকাপে সে কিন্তু ভালো করতে পারেনি এতটা। কিন্তু ভারতের সাথে যে ব্যাটিং করেছিল সেটা দেখার মতো ছিল।
ও (লিটন) যদি ফর্মটা ধরে রাখে এবং ধারাবাহিকভাবে যদি রান করে তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো হবে। সে দারুণ মানসম্পন্ন প্লেয়ার। আমার মনে হয় বিপিএলের কারণে আমাদের এমন সব পরিবর্তন এসেছে। বিপিএলের মান বাড়ায় সেটা জাতীয় দলে কাজে আসছে। আপনি যদি মাঠের ক্রিকেটের কথা বলেন তাহলে এবারের বিপিএলটা অন্যান্য আসরের তুলনায় ভালো হয়ছে। আর একটা কথা না বলে পারছি না বিপিএলের জন্যই কিন্তু আমরা অনেক তরুণ ক্রিকেটার পেয়েছি।

হৃদয়-রনি মতো অনেকেই উঠে এসেছে। এজন্য আমাদের ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ দেয়া উচিত, করোনার সময় অনেক দেশেই কিন্তু ক্রিকেট হয়নি। আমরা কিন্তু সে সময় টি-টোয়েন্টি চালিয়ে গিয়েছি, এই ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। এ কারণেই কিন্তু আমাদের ভালো ভালো প্লেয়ার বের হয়ে আসছে। সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো ব্যাপার। রনি অনেক ভালো প্লেয়ার। সে আগেও বাংলাদেশ দলে খেলেছে। একাডেমিতে ছিল।
অধিনায়কত্বকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না লিটন
১৯ ঘন্টা আগে
বিপিএলে ভালো করার পর এই সিরিজগুলোতেও ভালো করেছে। বাইরে গিয়ে যদি সে নিজেকে প্রমাণ করতে পারে তাহলে সে কিন্তু প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার হয়ে যাবে। তরুণ দল হওয়ায় সবার সাহস আর আত্মবিশ্বাসটা অন্যরকম। সবাই চাপহীন হয়ে খেলার কারণে আমরা টি-টোয়েন্টিতে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা শুরু করেছি। দেশের মাটিতে এখন ভালো করছি, আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে কিন্তু ঢাকায় হারিয়েছিলাম।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে অ্যাপ্রোচটা চাচ্ছিলাম সেটা এখন এসেছে। প্রথম ছয় ওভারে আমাদের যারা ব্যাটিং করবে স্ট্রাইক রেট ১৫০ এর উপরে থাকতে হবে। সে জিনিসটা আমরা এখানে খুঁজে পেয়েছি। ভালো ফিল্ডিং হচ্ছে, রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও ভালো হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে আমরা ভালো বোলিংও করছি। আমার মনে হয় এই অ্যাপ্রোচ আর এই পারফর্ম যদি থাকে আমরা অন্য দেশে গিয়েও ভালো ভালো দলকে হারাতে পারবো।
এখন আমাদের দুটি জিনিস দরকার, একজন ভালো লেগ স্পিনার ও আমাদের শেষের ১৫-২০ ওভারে ব্যাটিং করার মতো একজন ভালো হিটার যদি আমরা খুঁজে বের করতে পারি। তাহলে আমি মনে করি ওয়ানডের মতো আমাদের টি-টোয়েন্টি দলও ভালো পর্যায়ে যাবে। পুরো সিরিজ জুড়েই আমরা ভালো খেলেছি। সিরিজটি জিতেও নিয়েছি। হোয়াইটওয়াশ করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা কয়জন প্লেয়ার বের করে আনতে পেরেছি। কিছু ক্রিকেটারকে সুযোগ দেয়ার এটাই সঠিক সময়।
তরুণ যারা আছে তারা খেললে হয়তো আরেকটু মানিয়ে নেবে। সাকিব আজকেও যেভাবে ব্যাটিং বোলিং করেছে সেটা চমৎকার। যত দিন যাচ্ছে সে তত ভালো খেলছে। ওর যতই প্রশংসা করবো কম হয়ে যাবে। তার অধিনায়কত্ব বলেন, বোলিং-ব্যাটিং সবই কিন্তু চমৎকার। আর টি-টোয়েন্টিতে বড় দল ছোট দল বলে কিছু নেই। যে কেউ ভালো খেললে ম্যাচ জিততে পারে। আমরা যদি এই মানসিকতা নিয়ে খেলি তাহলে যেকোনো দলের সঙ্গেই আমরা জিততে পারবো।