আমার সম্পর্কে মিডিয়াতে যা আসে সবই গুজব: সাকিব
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
তামিম ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নন, তবে ‘ভালো বন্ধু’ সাকিবের
৪ ঘন্টা আগে
সাকিব আল হাসান মানেই যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে ‘ভাইরাল’ ব্যাপার। সাকিব কিছু করলেও আলোচনা-সমালোচনা হয়, আবার না করলেও তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। অর্জন আর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বলা হয়ে থাকে সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার। কদিন আগে সাংবাদিকদের মনোনয়নে পেয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কারও।
এরপরও সাকিবকে নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনার অন্ত নেই। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার সবসময় আলোচনায় থাকেন। কখনও ব্যাটে-বলে করা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আবার কখনও সাকিবকে নিয়ে আলোচনা হয় বিতর্কিত কাণ্ডে। সাকিব অবশ্য মনে করেন, মিডিয়াতে তার নামে যা শোনা যায় তা সবই গুজব।
একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে সাকিবের কাছে সমর্থকদের জানতে চাওয়া ছিল মিডিয়াতে তার সম্পর্কে মিডিয়াতে শোনো সবচেয়ে হাস্যকর গুজব কী ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে মজার ছলে সাকিব বলেন, ‘জানি না, আমার সম্পর্কে যা মিডিয়াতে আসে সবই গুজব। আমার কাছে তো সবগুলোই হাস্যকর। প্রতিটাই গুজব আমার কাছে।’

ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সাকিব। আইসিসির সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় বরাবরই আধিপত্য দেখা যায় তার। তাকে দেখে বড় হয়ে উঠছেন অনেক তরুণ ক্রিকেটার। সাকিবকে আদর্শ মেনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চান এমন তরুণের সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই গুনে শেষ করা যাবে না।
টপ এন্ড টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ম্যাচের সূচি প্রকাশ
২ ঘন্টা আগে
ক্রিকেটে সাকিব অবশ্য তেমন কাউকে নিজের আদর্শ মানতেন না। তবে ব্যাটিংয়ের জন্য পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার, ভারতের শচীন টেন্ডুলকার এবং রাহুল দ্রাবিড়দের খেলা দেখে শেখার চেষ্টা করতেন সাকিব। এদিকে বোলিংয়ে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের পছন্দ ছিল সাকলাইন মুশতাক এবং ওয়াসিম আকরাম। নিজের অনুপ্রেরণার কথা বলতে গিয়ে তার বাবা-মার কথা বলেছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক।
সাকিব বলেন, ‘ক্রিকেটের কথা যদি চিন্তা করি, ছোটবেলায় একেকজন ক্রিকেটারকে অনুসরণ করা ঠিক না তাদের খেলাটা দেখে শেখার চেষ্টা করতাম। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে সাঈদ আনোয়ার, শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়রা ছিলেন। বোলিংয়ে সাকলাইন মুশতাক, ওয়াসিম আকরামের বোলিং পছন্দ হতো যদিও সে ফাস্ট বোলার ছিল। আর যদি অনুপ্রেরণা খুঁজতে হয় আমি বলবো আব্বু-আম্মু।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ কিংবা ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার কথা ভাবতে পারেন সাকিব। বিদায়ের পর অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল সাকিবের কাছে। মজার ছলে সাকিব বলেন, ‘পারিশ্রমিক বেশি হলে (অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে আছে)।’