দলের প্রয়োজনে ‘বিব্রতকর’ কাজটিই করে যেতে চান রিজওয়ান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৪২ ম্যাচে ১৭ জয়, তবুও বেতন বাড়ছে বাবর-রিজওয়ানদের
১০ জুলাই ২৫
টি-টোয়েন্টিতে তুলনামূলক কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করতে দেখা যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। যার ফলে মাঝে মধ্যেই সমালোচনাও শুনেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। অথচ তিনি নিজেও জানেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্ট্রাইকরেট কতটা মূল্যবান। কিন্তু দলের প্রয়োজনেই তাকে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করতে হয়। মূলত টিম ম্যানেজমেন্ট থেকেই এমন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে। আর তা কিছুটা বিব্রতকর হলেও দলের প্রয়োজনে এভাবেই খেলে যেতে চান রিজওয়ান।
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজের সবশেষ ম্যাচে পুরো ২০ ওভার উইকেটে ছিলেন রিজওয়ান। যেখানে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ বলে অপরাজিত ৫৫ রান। সেদিন ১০ ওভার শেষে তার রান ছিল ২৩ বলে ২০ রান। টি-টোয়েন্টি সংস্করণ বিবেচনায় যেকোনো উইকেটে এই ইনিংস যে ধীরগতির তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

এর আগের ম্যাচে যখন এক প্রান্তে ঝড় তুলছিলেন লিটন দাস, অথচ রিজওয়ান সেদিনও আউট হয়েছেন একশোর নিচে স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বল খেলে তিনি নামের পাশে যোগ করেছিলেন ১৫ রান।
‘দেশের বাইরের চেয়ে দেশে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল’
১৫ ঘন্টা আগে
একই চিত্র ছিল এর আগের ম্যাচেও। পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলে লিটন আউট হয়েছিলেন ২২ বলে ৪০ রান করে। কিন্তু রিজওয়ানের রান ৮ ওভার শেষে ছিল ১৯ বলে ১৬। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৫ বলে করেন ৩৭ রান করেছিলেন।
রিজওয়ান বলেন, 'এটা খুব কঠিন ভূমিকা। কখনও কখনও এটাকে খুব বিব্রতকর মনে হয়। তবে নিজের কাজটা আমি জানি। দল আমার কাছে যা চায়, সেটাই করতে চাই আমি। কোচ, অধিনায়ক, মালিকপক্ষ ও পুরো কুমিল্লা দলে সবাই আমার পারফরম্যান্সে খুশি। এমন একজনকে তারা চায়, যে গোটা দলের ‘অ্যাংকর’ হবে।'
দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট এবি ডি ভিলিয়ার্সকে এক্ষেত্রে আদর্শ মানেন রিজওয়ান। তার মতো করেই পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে খেলার চেষ্টা করেন বলে জানালেন পাকিস্তানের এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।
তিনি বলেন, 'আমি চেষ্টা করি স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে দলের চাওয়া পূরণ করার। ক্রিকেটে আমার আদর্শ এবি ডি ভিলিয়ার্স, তাকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করি। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে যেমন পারফর্ম করেছেন, তেমনি টি-টোয়েন্টিতেও। আমিও সেটাই চেষ্টা করি।'