সিলেটের পাঁচে পাঁচ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিপিএলে শাস্তি পেয়ে ডিপিএলে ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ সাকিব
৩১ জানুয়ারি ২৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইমাদ ওয়াসিমের দারুণ বোলিংয়ের পর মোহাম্মদ হারিসের ইনিংসে এই জয় নিশ্চিত করেছে তারা। বিপিএলে এখনও হারের মুখ দেখেনি সিলেট, এটা তাদের পঞ্চম জয়।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৫২ রান তোলে সিলেট। ২০ বলে ১২ রান করে নাসির হোসেনের বলে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৬১ রানের মধ্যে ফিরে যান হারিস এবং জাকির হাসানও। ৩২ বলে ৪৪ রান করেন হারিস। তাকেও স্পিন ফাঁদে ফেলেন নাসির। অপরদিকে জাকিরকে (১) ফেরান আরাফাত সানি।
অল্প লক্ষ্য তাড়ায় মুশফিকুর রহিম ও ইমাদ ওয়াসিমের জুটিতে পুনরায় স্থিতিশীল হয় সিলেট। দলীয় ৯৩ রানে অবশ্য ফিরে যান ১১ রান করা ইমাদ। মুশফিকের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ২৭ রান।

শেষদিকে থিসারা পেরেরার ১১ বলে ২১ এবং আকবর আলীর ৫ বলে ১০ রানের অপরাজিত দুটি ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে সিলেট। ঢাকার হয়ে ১৯ রান খরচায় দুটি উইকেট নেন নাসির।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর সৌম্য সরকারকে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা ডমিনেটর্স। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। নিয়মিত বিরতি উইকেট হারানো ঢাকার পুঁজি একশ পার করেন নাসির হোসেন এবং আরিফুল ইসলামের শেষের ব্যাটিং। তবুও শেষ পর্যন্ত সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১২৮ রানের বেশি করতে পারেননি ঢাকা।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় নাসিরের দল। প্রমোশন পেয়ে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য। এদিন প্রথমবারের মতো এবারের বিপিএলে সুযোগ পাওয়া রুবেল হোসেনের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
এরপর খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন দিলশান মুনাবিরা ও উসমান গনি। তবে তাদের জুটি বেশি বড় হতে দেননি ইমাদ ওয়াসিম। ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ১৭ বলে ১৭ রান করে। একই ওভারে আউট হয়েছেন রবিন দাস। নিজের অভিষেক ম্যাচে ইমাদের বলে বোল্ড হয়ে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন এই ইংলিশ ব্যাটার।
দলীয় ৫১ রানে গনিও ফিরে যান। তার ব্যাটে আসে ২৮ বলে ২৭ রান। মাঝে প্রতিরোধ গড়তে যেয়েও ব্যর্থ হন মোহাম্মদ মিঠুন। ২৩ বলে ১৫ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
ঢাকার রান একশ পার করেছে নাসিরের ব্যাটে। ৩১ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৯ রান করেন ঢাকার অধিনায়ক। আরিফুল হকের ব্যাটে আসে ১৬ বলে ২০ রান। ঢাকার বোলারদের মধ্যে মাত্র ২০ রান খরচায় তিন উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম।