আফিফ-রাসুলির ব্যাটে ৮ উইকেটে জিতল চট্টগ্রাম

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে উইকেট হারানোর পর মিলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে টেনে তোলেন উসমান খান এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। উসমান ফিরলেও শেষ দিকে ডারউইস রাসুলির সঙ্গে শতরানের জুটিতে চট্টগ্রামকে জয় এনে দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আফিফ ও রাসুলির জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আল আমিন জুনিয়র। এরপর অবশ্য দারুণ জুটি গড়ে তোলেন আফিফ ও উসমান। তারা দুজনে মিলে ৫৬ রান।

আরাফাত হোসেন সানির বাজে বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা আমির হামজাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২২ রান উসমান। পাকিস্তানের এই ব্যাটার ফিরলেও রাসুলিকে নিয়ে জুটি গড়েন আফিফ। তারা দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৮ উইকেটের জয়ের দিনে আফিফ ৬৯ এবং রাসুলি অপরাজিত ছিলেন ৫৬ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন ঢাকার দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও উসমান গনি। পাওয়ার প্লের সুবিধা ঠিকঠাক নিতে না পারলেও কোনো উইকেট হারায়নি তারা। যেখানে ঢাকার রান তোলে মাত্র ৩৬। মিজানুর ও উসমানের জুটি ভাঙেন নিহাদ উজ জামান। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে মেহেদি হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ২৮ রানে ফেরেন মিজানুর।
ডানহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ের পর আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার উসমান। আফগানিস্তানের এই ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন নিহাদ। হাফ সেঞ্চুরির আক্ষেপে পোড়া উসমান এদিন আউট হয়েছেন ৪৭ রানে। বিপিএলের এবারের আসরে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার। শুভাগত হোমের বলে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেয়া সৌম্য সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রানে।
সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও। মালিন্দা পুষ্পাকুমারার বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন ৯ রান করা এই ব্যাটার। নাসির ভালো শুরু করলেও ২২ বলে ৩০ রান করে আউট হতে যান। শেষ দিকে আরিফুল হক ১৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে ঢাকাকে ১৫৮ রানের পুঁজি এনে দেন।