রবিউলের অনুপ্রেরণা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘দেশের বাইরের চেয়ে দেশে বাংলাদেশ অনেক ভালো দল’
১১ জুলাই ২৫
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরের শুরু থেকেই উইকেট পাওয়ার পর রবিউল হকের বুকে হাত জমাট করে দাঁড়িয়ে কিংবা দুই হাত প্রসারিত করে লাফ দিয়ে সেলিব্রেশন নজর ???েরেছে ক্রিকেট ভক্তদের।
শুক্রবার খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন এই পেসার। এরপর সংবাদ সম্মলনেও এসেছিলেন তিনি। জানিয়েছেন নিজের সংগ্রামী জীবনের কথা। রবিউলের সেলিব্রেশন দেখেই বোঝা গিয়েছিল তিনি ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাড় ভক্ত।
এই বিষয়ে খোলাসা করে রবিউল বলেন, ‘খুব খারাপ পরিস্থিতিতেও দলকে যেকোনো ভাবে কামব্যাক করাতে পারেন, বড় মঞ্চেও। এরকম একটা বিশ্ব মহাতারকার কাছ থেকে কিছুটা হলেও যদি আমি নিজের ভেতর নিতে পারি... কঠোর পরিশ্রম, শক্ত মানসিকতা, যাই বলেন। আমার জন্য এসব অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার হবে।’

‘রিয়াল মাদ্রিদে সুপার সিজন কাটানোর পরে এত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এত ট্রফি... জুভেন্টাসে যাওয়ার পর... এখনও তার শক্ত মানসিকতার পরিচয় যেভাবে দিয়ে যাচ্ছেন এটা অনেক বড় কিছু। রোনালদোর এসব অনুসরণ করা হয়। নিজেকেও পাম্প আপ করি, একটা মানুষ কঠোর পরিশ্রম দিয়ে এত কিছু করতে পারলে আমিও মানুষ...অনেক কিছু করতে পারব।’
রবিউল জানিয়েছেন তার পথটা এতোটা সহজ ছিল না। একসময় রবিউলের বাবা তার ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ইনজুরির কারণেও জীবন থেকে দেড় বছর হারিয়ে গিয়েছিল তার। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে বিপিএলের মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি।
রবিউলের বাবা বলেছিলেন, ‘একজনকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে পারি। সবাইকে না...’। ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাবার মৃত্যুর পর ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন রবিউল। তিনি বলেন, ‘বাবা আমার ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক টেন্সড ছিলেন। প্রায় দেড় বছর ইনজুরিতে ছিলাম। উনি হয়তোবা অনেক টেনশন করতেন...আমার কী হবে ক্যারিয়ারে এমন ভাবতেন। আমি কখনও ভাবতাম না।’
খুলনার বিপক্ষে প্রথম ওভারেই ১২ রান দিয়েছিলেন এই পেসার। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। ইনিংসের মাঝামাঝি ফিরে এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে খুলনাকে চেপে ধরার কাজটা তিনিই করেছেন। এরপর শেষদিকে দুই ওভারে নেনে আরও দুই উইকেট।
এমন পারফরম্যান্সের পর রবিউলের আক্ষেপ তার এই সুদিন দেখে যেতে পারেননি তার বাবা। এই পেসার বলেন, ‘সবসময় ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে কাজ করে হয়তো আজকে বাবা বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন এরকম লাইভ ম্যাচে দেখলে।’