চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচেই জয় পেল বরিশাল

সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


আরো পড়ুন

বিপিএলের জন্য ৬ বিদেশিকে দলে নিয়েছে বরিশাল

২৯ জুন ২৫
দলের সঙ্গে বরিশালের বিদেশি ক্রিকেটার জেমস ফুলার

উসমান খানের ব্যাটে দারুণ শুরুর পর হঠাৎই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ছন্দপতন। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ দিকে জিয়াউর রহমান ব্যাট হাতে ঝড় তুললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। জিয়াউরের অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস কেবল চট্টগ্রামের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। চট্টগ্রামকে ২৬ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো ফরচুন বরিশাল।


চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২০৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেছিল চট্টগ্রাম। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন উসমান খান এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। উসমানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারেই চট্টগ্রামের রান বিনা উইকেটে ৪০। বড় লক্ষ্য তাড়ায় যেমন শুরু দরকার ঠিক তেমনটাই করলো স্বাগতিকরা।


ইনিংসের পঞ্চম ওভারে উসমানের ঝড় থামান কামরুল ইসলাম রাব্বি। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হজম করলেও ওভারের শেষ বলে ডানহাতি এই ব্যাটারকে আউট করেছেন তিনি। রাব্বির অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে কভার পয়েন্ট দিয়ে খেলতে গিয়ে সানজামুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ১৯ বলে ৩৬ রান করা উসমান। তবে সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড।


২৯ বলে ২৯ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে সাকিব আল হাসানের বলে সাইফ হাসানের হাত ক্যাচ দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তিনে নেমে ভালো করতে পারেননি উন্মুখ চাদঁও। ডানহাতি এই ব্যাটারের ধীরগতির ব্যাটিং দলকে বরং বিপদে ফেলেছে। করিম জানাতের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ২১ বলে ১৬ রান করা উন্মুখ। চাপে পড়ে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন আফিফ হোসেন।


খালেদ আহমেদের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা সানজামুলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তাতে ২১ বলে ২৮ রান করে ফিরতে হয় আফিফকে। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন জিয়াউর রহমান। খালেদের করা ১৮তম ওভারে ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৯ রান আনেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন জিয়াউর।


promotional_ad

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু করে বরিশাল। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজকে এদিন ওপেনিংয়ে পাঠায় দলটি। সুযোগ পেয়ে শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর চড়াও হন ডানহাতি এই ব্যাটার। আবু জায়েদ রাহির ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে চার মেরে রান খাতা খোলা মিরাজ পরের দুই বলেও চার মেরেছেন। তাতে রাহির প্রথম ওভার থেকে আসে ১৫ রান।


পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন এনামুল হক বিজয়। মৃত্যুঞ্জয়ের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বল হাওয়ায় ভাসিয়েছিলেন ডানহাতি এই ওপেনার। ফাঁকা জায়গায় পড়ায় বেঁচে যান তিনি। শেষ বলে বিজয় চার মারলেও সেই ওভার থেকে আসে ৮ রান। পেসারদের ‍দুই ওভার থেকে ২৩ রান আসায় আক্রমণে স্পিনার আনেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম। তাইজুলকে বোলিংয়ে আনতেই সাফল্য পায় চট্টগ্রাম।


নিজের তৃতীয় বলে ছক্কা হজম করলেও আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠা মিরাজকে সাজঘরে ফেরেন তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গেলে টপ এজ হয়ে জিয়াউর রহমানের হাতে ক্যাচ দেন ১২ বলে ২৪ রান করা মিরাজ। তিনে নেমে পরপর দুই বলে দুই চার মারলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। মৃত্যুঞ্জয়ের অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়েছেন ৮ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার।


উইকেট হারালেও রান তোলার গতি সচল রাখে বরিশাল। তাতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তোলে দলটি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার এক ওভার পরই অবশ্য উইকেট হারায় তারা। বিজয়াকান্ত বিশ্বকান্তের অফ স্টাম্পের বাইরের গুড লেংথ ডেলিভারিতে লং অফের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন বিজয়। সীমানায় দাঁড়িয়ে লাফিয়ে উঠে দারুণ এক ক্যাচ নেন জিয়াউর। তাতে ২১ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বিজয়।


পরের বলেই রিভিউ নষ্ট করে চট্টগ্রাম। বিজয়াকান্তের গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বল প্যাডে লাগতেই আবেদন করেন চট্টগ্রামের ফিল্ডাররা। তবে তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। চট্টগ্রাম রিভিউ নিলেও বদলায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। এরপর চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর চড়াও হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। একের পর এক চার-ছক্কায় দ্রুত রান বাড়িয়ে চলেন মাহমুদউল্লাহ ও ইবরাহিম জাদরান। তাদের দুজনের জমে ওঠা জুটি ভাঙেন জিয়াউর।


ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে উন্মুখ চাঁদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৭ বলে ২৫ রান করা মাহমুদউল্লাহ। এদিকে দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি জাদরানের। রাহির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে থাকা ম্যাক্স ও’ডাউডের হাতে ক্যাচ দেন ৪৮ রান করা এই আফগান ব্যাটার। থিতু হতে পারেননি করিম জানাত। তবে শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ইফতিখার।


রাহির করা ১৯তম ওভারের শেষ তিন বলে তিন ছক্কা মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর শেষ বলে ৫ বল খেলে দুই চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছক্কাও। ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া ইফতিখার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৬ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। চট্টগ্রামের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন রাহি।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


ফরচুন বরিশাল- ২০২/২ (২০ ওভার) (ইফতিখার ৫৭*, ইবরাহিম ৪৮, বিজয় ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিরাজ ২৪; রাহি ৩/৪৯)


চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৭৬/৪ (২০ ওভার) (জিয়াউর ৪৭*, উসমান ৩৬, ও’ডাউড ২৯, আফিফ ২৮; রাব্বি ১/৮, সাকিব ১/২৭)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball