আরব আমিরাতকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার স্বস্তির জয়

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কার্তিক মিয়াপ্পানের হ্যাটট্রিকে অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল শ্রীলঙ্কার। তবে ওপেনিংয়ে নেমে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন পাথুম নিশানকা। বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকার কাজটা এদিন বেশ ভালোভাবেই সারেন দুশমন্থ চামিরা-ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৭৯ রানে হারিয়ে স্বস্তির জয় তুলে নিল শ্রীলঙ্কা।
জিলংয়ে জয়ের জন্য ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে প্রমোদ মাদুশানের প্রথম ওভারে দুই চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন চিরাগ সুরি। পরের ওভারে মাহিশ থিকশানার শেষ বলে চার মারেন ডানহাতি এই ওপেনার। তবে মোহাম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে চিরাগের জুটি ভাঙেন দুশমন্থ চামিরা। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ওয়াসিম।

ওয়াসিমের ফেরার ওভারেই আরিয়ান লাকরাকে আউট করেন চামিরা। ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন আরিয়ান। তবে ব্যাট ও পায়ের মাঝে বেশ খানিকটা গ্যাপ থাকায় বল হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেও দুর্দান্ত ছিলেন চামিরা। সিপি রিজওয়ান ডানহাতি এই পেসারের গতি বুঝতেই পারেননি।
চামিরার ১৪০ গতির বল খেলতে গিয়ে ভানুকা রাজাপাকশের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিনায়ক। একপ্রান্ত আগলে রাখা চিরাগকে ইনিংস বড় করতে দেননি মাদুশান। তরুণ এই পেসারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৪ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটার।
দলের বাকি ব্যাটাররাও ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। শেষ দিকে আরব আমিরাতের হারের ব্যবধান কমান আয়ান আফজাল খান এবং জুনায়েদ সিদ্দিকি। ৭৩ রানে অল আউট হওয়ার আগে আয়ান ১৯ এবং জুনায়েদ ১৮ রান করেন। লঙ্কানদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসারাঙ্গা এবং চামিরা।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫২ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন নিশানকা। এ ছাড়া ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৩৩ এবং কুশল মেন্ডিস ১৮ রান করেছেন। আরব আমিরাতের হয়ে মিয়াপ্পান তিনটি এবং জাহর খান দুটি উইকেট নিয়েছেন।
এদিন হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন মিয়াপ্পান। যা এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। সহযোগী দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা মিয়াপ্পান এদিন ফিরিয়েছেন রাজাপাকশে, চারিথ আসালঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে।