নাসিমের ছক্কা দেখে মিয়াঁদাদকে মনে পড়ছে বাবরের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৪২ ম্যাচে ১৭ জয়, তবুও বেতন বাড়ছে বাবর-রিজওয়ানদের
১০ জুলাই ২৫
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দল জেতান জাভেদ মিয়াঁদাদ। সুপার ফোরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নাসিম শাহর হাঁকানো দুটি ছক্কা বাবর আজমকে মনে করিয়ে দিয়েছে সেই ঘটনা।
সেই ম্যাচে জয়ের জন্য শেষ বলে চার রান লাগতো পাকিস্তানের। বল হাতে ছিলেন ভারতের পেসার চেতন শর্মা। ফুল টস ডেলিভারি করেছিলেন চেতন। আর বলটি মিড উইকেটে সীমানা ছাড়া করেন মিয়াঁদাদ।

৭ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ শেষে বাবর বলেন, 'এই ছক্কা দেখে তো জাভেদ ভাইয়ের কথা মনে পড়ে গেছে। শারজাহতে উনি ছক্কা মেরেছিলেন। সেরকম কিছুই হলো আজ।'
ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনায় মন কাঁদছে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের
৩ ঘন্টা আগে
সেই ঐতিহাসিক ছক্কার কথা বাবরের মনে পড়ার কথা অবশ্য খুবই স্বাভাবিক। কেননা আফগানিস্তানের বিপক্ষেও রীতিমতো হারা ম্যাচ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এই ম্যাচ জিতে আসরের ফাইনালও নিশ্চিত করে বাবরবাহিনী।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। উইকেটে ছিলেন একদম তলানির দুই ব্যাটার মোহাম্মদ হাসনাইন ও নাসিম। ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আগের ওভারেই ফিরে গেছেন ৮ বলে ১৬ রান করে পাকিস্তানকে জয়ের পথে আরেকটু এগিয়ে নেয়া আসিফ আলী।
সেই ওভার করেন ফজল হক ফারুকি। মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই জিতে যাবে আফগানরা। কিন্তু টানা দুটি ফুল টস দিয়ে বসেন ফারুকি। দুটি বলেই দারুণ দুটি ছক্কা হাঁকান নাসিম।
বাবর আরও বলেন, 'ড্রেসিং রুমেই ছিলাম তখন। টেনশন তো ছিলই। তবে মনের মধ্যে সামান্য একটু উঁকি দিয়েছিল যে, নাসিম শাহ হয়তো কিছু করতে পারে… খেলাটা ক্রিকেট, যে কোনো কিছুই হতে পারে। ওকে দেখেছি নানা সময়ে ভালোই ব্যাটিং করে। সামান্য আশা ছিল যে সে করে ফেলতেও পারে। যেভাবে করল, অসাধারণ।'