মাঠে গোপন সংকেত পাঠানোর কোনো মানে নেই: ক্লুজনার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘এত ট্রল সামলে লিটনের ছন্দে ফেরা সহজ ছিল না’
১৭ জুলাই ২৫
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার দুটো ম্যাচেই দেখা গেছে, ড্রেসিংরুম থেকে কোডেড সিগন্যাল পাঠাচ্ছেন দলটির প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউড। ড্রেসিংরুম থেকে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে এই কোডেড সিগন্যাল দিয়ে ‘গোপন বার্তা’ পাঠানো হয়েছিল মাঠে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার কাছে। লঙ্কান কোচের এমন কাজ ক্রিকেটের নীতি বিরোধী নয়। তবে এমন কাজের কোনো মানে নেই বলে মনে করেন ল্যান্স ক্লুজনার।
সিলভারউডের ক্ষেত্রে এই গোপন সংকেত পাঠানো অবশ্য নতুন কিছু না। ইংল্যান্ড দলের কোচ থাকতেও মাঠে ইয়ন মরগানকে এভাবে গোপন সংকেত পাঠিয়েছেন তিনি। মাঠে অধিনায়ক থাকতে বাইরে থেকে এভাবে গোপন সংকেত পাঠানো কতটুকু বিধিসম্মত? এই প্রশ্ন ছিল সব সময়ই।

তখন সিলভারউডের এই কাজের সমালোচনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন। তবে ইংল্যান্ডের তখনকার অধিনায়ক মরগান তার কোচের এই কাজের সমর্থন দিয়েছিলেন। কোচের পক্ষে এমন সমর্থন দেয়ার পেছনে যুক্তিও দিয়েছিলেন মরগান।
ভনের মতো সিলভারউডের এই কাজের সমালোচনা করেছেন এবার ল্যান্স ক্লুজনার। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটিং কোচের কাছে এটা দেখতে আকর্ষণীয় হলেও এমন সংকেতের কোনো মূল্যই নেই। কারণ কোচরা চাইলেই প্রতি ওভারের শেষে বার্তা পাঠাতে পারে।
ক্লুজনার বলেন, ‘এটা দেখতে আকর্ষণীয় লাগলেও, আমার কাছে এর কোনো মূল্য নেই। কোচরা খুব সহজেই প্রতি ওভারের মাঝে কিংবা পানি পানের বিরতিতে বার্তা পাঠাতে পারে। মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, এমন বিশ্বাস যদি অধিনায়কের ওপর থাকে তাহলে এমন গোপন সংকেত পাঠানোর কোনো মানে নেই।’
তবে আরেক প্রোটিয়া মিকি আর্থার মনে করেন এমন সিগন্যাল অধিনায়ককে অপশন দেয়। যা তাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করে। আর্থার বলেন, ‘ওই সিগনালগুলো অধিনায়ককে অনেকগুলো অপশন দিয়ে থাকে। অনেক সময় অধিনায়ককে মনে করিয়ে দেয় যে কী করা যেতে পারে। এটা যদিও অধিনায়কের ব্যাপার সে এটা ব্যবহার করবে কি না।’