দুবাইয়ে নেমেই আসিফের ছক্কা শুরু

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| সৈয়দ সামি, দুবাই থেকে ||
এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে, ভারত-পাকিস্তান লড়াই দেখা যেতে পারে ৩ বার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
দুবাইয়ে বইছে এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগামী কিছু দিনের মধ্যে কোনো ঝড়ের পূর্বাভাস নেই। তবে ২৭ আগস্ট থেকে দুবাই আর শারজাহর মাঠে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের খবর সংবাদের শিরোনাম হতে পারে নিয়মিত।
সেই ঝড়েরই যেন পূর্বাভাস দিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার আসিফ আলী। দিনের শুরুতে হালকা গা গরমের পর ব্যাট-প্যাড হাতে সবার আগে নেটে এলেন আসিফ। সঙ্গে ছিলেন দলের সঙ্গে থাকা একজন থ্রোয়ার।
মাঠের সীমানা বরাবর দাঁড় করালেন চার জন ফিল্ডার। প্রথম বল থেকেই ছক্কার অনুশীলন শুরু করেন তিনি। আসিফের ক্ষিপ্র ব্যাটিংয়ে নিরাপদে ছিলেন না এশিয়া কাপ কাভার করতে দুবাইয়ে আসা সাংবাদিকরাও।

একের পর এক বল আছড়ে পড়ছিল আসিফের দিকে তাক করা ক্যামেরার দিকে। টানা আধা ঘণ্টা ছক্কার অনুশীলন শেষে নেটের অপরপ্রান্তে গিয়ে সতীর্থ খুশদিল শাহর ব্যাটিং দেখেছেন আসিফ।
দুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেছিলেন, ‘আমি যে পজিশনে ব্যাট করি, সেখানে সাধারণত ওভারে গড়ে ১০ রান করে দরকার হয়। এজন্য বিগ–হিটিং ব্যাটিংয়ের দরকার হয় এবং প্রচুর অনুশীলন করতে হয়। আমি সাধারণত প্রতিদিন ১০০–১৫০টি ছক্কা মারার অনুশীলন করি যেন ম্যাচে ৪–৫টি মারতে পারি।’
গত ২৩ আগস্ট দুবাইয়ে নেমে প্রথম দিনের অনুশীলনেই নিজের কথার যেন হাতে-নাতে প্রমাণ দিলেন আসিফ। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৭ আগস্ট ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দেখা যেতে পারে আসিফের ছক্কার ঝড়।
আইসিসির একাডেমী মাঠে এদিন পাকিস্তান দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছে আফগানিস্তানও। একই মাঠে অনুশীলন হলেও দুই ভাগ হয়ে নিজেদের পতাকা গেড়ে অনুশীলন চালিয়েছে দুই দল।
প্রায় একই সময় আইসিসির একাডেমীতে আসে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। সে সময় দুই দলের ক্রিকেটারদের একই সঙ্গে নামাজ আদায় করতেও দেখা গেছে। এই নামাজে ইমামের দায়িত্বে ছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং আইকন মোহাম্মদ রিজওয়ান।