৪০ ওভারের ওয়ানডে চান শাস্ত্রীও

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ম্যানচেস্টারে ‘ব্যাটার’ পান্তকে না খেলানোর পরামর্শ শাস্ত্রীর
১৮ জুলাই ২৫
টি-টোয়েন্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে না পারায় জৌলুস হারাচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। যার ফলে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ অনেক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার। তবে এই সংস্করণকে বাঁচিয়ে রাখতে কদিন আগে ৪০ ওভারের ওয়ানডের পরামর্শ দিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে সুর মেলালেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের সাবেক প্রধান কোচও ওয়ানডেকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিন সংস্করণের ঠাসা সূচির কারণে কদিন আগে ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন বেন স্টোকস। ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে ইংলিশ অলরাউন্ডারের অবসর নেয়ার পর থেকেই এই সংস্করণের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কদিন আগে উসমান খাওয়াজা জানিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে বাদ দেয়ার কথা।

যদিও ওয়ানডের ক্রিকেটের এখনই শেষ দেখছেন না কুইন্টন ডি কক। সাউথ আফ্রিকার এই উইকেটকিপার ব্যাটার মনে করেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ভবিষ্যত এখনও উজ্জ্বল। তবে ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে অনীহা বেড়ে যাওয়ায় সেটিকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন শাস্ত্রী।
ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা ইংল্যান্ডের
২ ঘন্টা আগে
ফ্যানকোডের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতের সাবেক প্রধান কোচ বলেন, ‘ওয়ানডে ক্রিকেট এখন অনেকটা বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিনোদনমূলক করার জন্য আমি এটিকে ৫০ থেকে ৪০ ওভারে নামিয়ে আনার পরামর্শ দেবো।’
শুরুর সময়টায় ওয়ানডে ক্রিকেট ৬০ ওভারে হলেও সেটি পরবর্তীতে কমিয়ে আনা হয় ৫০ ওভারে। সেটিকে আরও একবার কমানোর রব উঠেছে ক্রিকেট মহলে। খেলার ব্যাপ্তি কমিয়ে আনার মাঝে কোনো ক্ষতি দেখছেন না শাস্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘খেলার ব্যাপ্তি কমিয়ে আনার মধ্যে কোনো ক্ষতি নেই। একদিনের ক্রিকেট যখন শুরু হয়েছিল তখন ৬০ ওভারের ছিল। ১৯৮৩ সালে যখন আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, তখন সেটি ছিল ৬০ ওভারের। এরপরে সবাই ভেবেছিল যে ৬০ ওভার একটু বেশি দীর্ঘ। তাই তারা এটি ৬০ থেকে কমিয়ে ৫০ করেছে। সেই সিদ্ধান্তের পর থেকে এখন অনেক বছর চলে গেছে। তাই এখন কেন এটি ৫০ থেকে কমিয়ে ৪০ করা হচ্ছে না।’