ওয়ানডে নিয়ে ওয়াসিমের মতামতকে পাত্তা দিচ্ছেন না বাট

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘দুবাইয়ের বাইরে খেললেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হতো’, একই মত গাভাস্কার-আকরামদের
১২ মার্চ ২৫
টোয়েন্টির জনপ্রিয়তার আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেট। বেন স্টোকসের অবসরের পর ক্রিকেটের সংস্করণগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্টুয়ার্ট ব্রড, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ওয়াসিম আকরাম এবং উসমান খাওয়াজারা।
ওয়ানডে ক্রিকেট ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে! কদিন আগে মন্তব্য করেছিলেন ওয়াসিম। পাকিস্তানের সাবেক পেসারের মতামতকে শ্রদ্ধা জানালেও সেটিকে পাত্তা দিচ্ছেন না সালমান বাট। ওয়ানডের মতো দারুণ কিছু টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায় না বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাট বলেন, ‘আমি সবার মতামতকেই শ্রদ্ধা করি। ওয়াসিম ভাই আমাদের কিংবদন্তি। আমি তাঁর মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু তিনিও তো ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপে তাঁর দুটি ডেলিভারি আছে, যেটা এখনো সবার মনে পড়ে। এমনটা টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায় না।’
তিন সংস্করণের ঠাসা সূচিতে অনেক ক্রিকেটারই হাঁপিয়ে উঠছেন। ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে রোটেশন পলিসি চালু করেছে ইংল্যান্ড ও ভারতের মতো দলগুলো। রোটেশন পলিসি থাকার পরও কদিন আগে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন স্টোকস।
ইংলিশ অলরাউন্ডারের বিদায়ের পর রবি শাস্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর একই পথে হাঁটতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া। এদিকে ক্রিকেটাররা অর্থের কারণে টি-টোয়েন্টি লিগের পেছনে ছুটছেও বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।
বাট বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা নিজেদের ইচ্ছেমতো সংস্করণ বেছে নেবে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে টি-টোয়েন্টির লিগ আছে এবং এটাতে অর্থও বেশি। এ কারণে এটা খেলোয়াড়েরা ছাড়তে চায় না। ঠাসা সূচির কারণে কেউ যদি ক্লান্ত বোধ করে, তারা ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।‘