অ্যাশেজ ও বিশ্বকাপে চোখ স্মিথের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০৩২ অলিম্পিকের পর ভেঙে ফেলা হবে গ্যাবা স্টেডিয়াম
২৫ মার্চ ২৫
কনুইয়ের চোটে ভুগছেন স্টিভ স্মিথ। এর ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া দলে নেই তিনি। আগামী অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মূলত নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এই দুটি সফর বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
অজিদের হয়ে দুই এই সফরে না খেলতে পারাটা স্মিথের জন্য একটি বড় ধাক্কাই বটে। যদিও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের চোট কাটিয়ে উঠতে পারবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলা হলে আপাতত আগামী ডিসেম্বরের ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ সিরিজের দিকেই চোখ রাখছেন স্মিথ।
এমনকি চোট কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট হতে প্রয়োজনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিবর্তে অ্যাশেজের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করবেন তিনি। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় আগামী ৬ মাসে ক্রিকেটের বড় দুটি মঞ্চে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ সিরিজ) স্মিথকে দলে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসরটির পরপরই ২৭ নভেম্বর থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ৮ ডিসেম্বর থেকে অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৫টি টেস্টে সূচির ব্যস্ততায় থাকবে অজিরা।

এবার ক্রিকেট ডটকমের মুখোমুখি হয়ে চোটগ্রস্ত স্টিভ স্মিথ জানালেন, 'টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এখনও অনেকটা সময় আছে। এই মুহূর্তে আমি সবকিছুই ঠিকঠাক মতো করে যাচ্ছি। এটা ধীরগতিতে চললেও আমি ভালোর দিকে যাচ্ছি।’
স্মিথ ও ফিলিপসকে পেছনে ফেলে ফেব্রুয়ারির মাসসেরা গিল
১২ মার্চ ২৫
স্মিথ আরো বলেন, ‘আমি অবশ্যই বিশ্বকাপের অংশ হতে চাই, তবে আমার দৃষ্টিতে টেস্ট ক্রিকেটই মূল লক্ষ্য। অ্যাশেজের জন্য আমি পুরোপুরি ফিট হতে চাই এবং শেষ কয়েকটি অ্যাশেজে আমি যা করে দেখিয়েছি সেগুলোর পুনরাবৃত্তি করতে চাই।’
অ্যাশেজে বরাবরই ব্যাট হাসে স্মিথের। গত তিন অ্যাশেজের মোট ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৯৩.৭৬ গড়ে মোট ১৯৬৯ রান করেছেন টেস্টে র্যাঙ্কিংয়ের দুই নাম্বার ব্যাটিং স্মিথ। এর মধ্যে ৮টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। অ্যাশেজের পারফরম্যান্সে স্মিথের ধারের কাছেও নেই কেউ।
ইংল্যান্ড দলের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট ভালো করলেও পারফরম্যান্সের বিচারে স্মিথের চাইতে বেশ পিছিয়ে। ১৫ ম্যাচে রুটের ব্যাট থেকে এসেছে ১১৬৩ রান। অর্থ্যাৎ শেষ তিন অ্যাশেজে এক ম্যাচ বেশি খেলেও স্মিথের চাইতে ৮০৩ রান পিছিয়ে আছেন রুট। এই পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়ার জন্য স্মিথ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ব্যাপারে স্মিথ বলেন, ‘আমি নিজেকে এমন অবস্থানে রাখতে চাই যেখানে আমি এই ধরনের প্রভাব ফেলতে পারবো। যদিও এর অর্থ এই নয় যে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে চাই না। কিন্তু আমাদের সেই পন্থা অবলম্বন করতে হবে। কিন্তু আমি আশা করি আমাদের সঙ্গে তেমনটা হবে না।'
গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চের কিছু অংশে ঘরোয়া লিগ থেকে বিশ্রামে যান স্মিথ। পরে ফিরে এসে ৩১ মার্চে ৫০ ওভারের ম্যাচে নিউ সাউথ ওয়েলের হয়ে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। এর কিছুদিন পর আইপিএলে অংশগ্রহণ করেন।
স্মিথ বলেন, ‘আইপিএলের শুধু থেকেই আমি শতভাগ ফিট ছিলাম না। এটি আমাকে অনেকটা অস্বস্তিতে ফেলছিলো। তখন প্রতিবার ব্যাট করতে নামার আগে আমি ব্যথানাশক ওষুধ লাগিয়ে ও খেয়ে খেলতে নেমেছিলাম। পরে এটি এমন একটি জায়গায় পৌঁছালো যেটি খুব বেশি ইমপ্রুভ হচ্ছিলো না। আমি যখন ওখানে ছিলাম এটি আসলেছি খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।’
এবারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ৬টি ম্যাচে খেলেছিলেন স্মিথ। যদিও পরে আসরের বাকি ম্যাচগুলো করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায়। পরে দেশে ফিরে এসে বিশ্রাম নেওয়ার পরে তার পুনর্বাসন নিবিড়ভাবে হচ্ছিলো।