বল টেম্পারিং নিয়ে ‘গুজব’ না ছড়ানোর অনুরোধ স্টার্ক-কামিন্সদের

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএল খেলতে ভারতে ফিরছেন না স্টার্ক, বিপাকে দিল্লি
১৬ মে ২৫
২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে বিশ্ব ক্রিকেটে হইচই ফেলে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এই ঘটনার পর তৎকালীন অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেন। তাঁদের দুজনের সঙ্গে বল টেম্পারিংয় ক্যামেরন ব্যানক্রফট জড়িত থাকলেও তাঁর শাস্তি কিছুটা কমই হয়েছিল।
তিন জনই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারও অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরেছেন। তবে ওয়ার্নার-স্মিথ নিয়মিত হলেও অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন ব্যানক্রফট।সেই বল টেম্পারিং নিয়ে আবারও মুখ খুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক সময়ের এই প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটসম্যান। তিনি জানিয়েছেন, দলের বোলাররা আগে থেকেই জানতেন বল টেম্পারিংয়ের কথা।
ব্যানক্রফটের এমন অভিযোগের পর সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ইউনিটে থাকা মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজেলউড-নাথান লায়ন ও প্যাট কামিন্সরা যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা বেশ কয়েকবার সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তাই এসব গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন।

বিবৃতিতে অনুযায়ী পাঠকদের জন্য চিঠির হুবহু বাংলা অনুবাদ তুলে ধরা হলো:
চোট কাটিয়ে আইপিএলে ফিরছেন হ্যাজেলউড
২৩ মে ২৫
‘আমরা আমাদের নিজেদের সততা নিয়ে গর্ববোধ করি। সুতরাং এটা দেখে অনেকটা হতাশ হয়েছি যে ২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্ট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সাংবাদিকরা ও সাবেক খেলোয়াড়েরা আমাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আমরা ইতোমধ্যে এই ইস্যুতে বহুবার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। তবে আমাদের তথ্যগুলো আবার রেকর্ডে পুনরায় রাখতে বাধ্য হচ্ছি।
নিউল্যান্ডের বড় পর্দায় ছবিগুলো না দেখা পর্যন্ত আমরা জানতাম না যে বলের অবস্থা পরিবর্তন করতে কোন বিদেশি পদার্থ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর যারা প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও জোর দিয় বলছেন যে আমরা বোলার হওয়ায় বিদেশি পদার্থের ব্যবহার সম্পর্কে 'আমাদের অবশ্যই জানা থাকতে হবে’।
আমরা একটি কথা বলতে চাই, ওই টেস্ট ম্যাচের সময় আম্পায়াররা নাইজেল লং এবং রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ উভয়ই অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং অভিজ্ঞ আম্পায়াররা, টিভি কভারেজটিতে চিত্র প্রকাশের পরে বলটি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং ক্ষতির কোনও চিহ্ন নেই বলে এটিকে পরিবর্তন করেননি।
সেদিন নিউল্যান্ডের মাঠে কি ঘটেছিল সেটার কোনো অজুহাত নেই। এটি অবশ্যই ভুল ছিল, এটি কখনই হওয়া উচিত ছিল না। সেখান থেকে আমরা মূল্যবান শিক্ষা পেয়েছি। আমরা ভাবতে চাই যে আমরা যেভাবে খেলি, আচরণ করি এবং খেলাকে সম্মান করি সেটা দিয়ে জনসাধারণ ভালোভাবে পরিবর্তন দেখতে পারে।
মানুষ এবং খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি অব্যাহত থাকবে। আমরা শ্রদ্ধার সাথে গুজব-উৎসাহ এবং উদ্বেগের অবসান ঘটাতে অনুরোধ করছি। অনেক হয়েছে, এটি ছাপিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।’