ডি ভিলিয়ার্সের পরিকল্পনায় করোনার বাধা!

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অবসর ভেঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে মনস্থির করছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় কবে নাগাদ খেলা মাঠে ফিরবে তার নিশ্চয়তা নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক জানালেন, তার জন্য লকডাউনটা খুব বাজে সময়ে এসেছে। যা তার পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০১৮ সালের ২৩ মে সবাইকে অবাক করে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ডি ভিলিয়ার্স। যদিও পরে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তার বনিবনা হয়নি।
এরপর থেকে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলোতে খেলে যাচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে বিগ ব্যাশ লিগেও। তবে আপাতত শুধু মাঠে ফিরতেই মরিয়া হয়ে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক।

ক্রিকবাজকে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, 'লকডাউনটা খুব বাজে সময়ে এসেছে। আমি অনেক আগ্রহী ছিলাম জাতীয় দলে ফিরতে। সেটা খেলার জন্য হোক বা দলের সঙ্গে কাজ করার জন্য। আমি সবসময়েই চেয়েছি পার্থক্য গড়ে দিতে। প্রতিদিনই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, এই মুহূর্তে আমি শুধু মাঠে ফিরতে চাই।'
'আশা করছি এ বছর আইপিএল হবে, সঙ্গে আরও ২-১টি টুর্নামেন্ট খেলব। সে সময়ের পরিস্থিতির ওপর আবারো সব কিছু বিবেচনা করব। পরিবার, শরীর এবং ক্ষুধা এসব বিষয় বড় ভূমিকা পালন করে, ৬ মাস পর আমি কই থাকবো জানি না। আশা করছি সব ঠিক হবে, যে দলের হয়েই খেলি অবদান রাখতে পারব,' আরও যোগ করেন এই ক্রিকেটার।
ক্যারিয়ারের শেষ কয়েকটা বছর ভালো যায়নি ডি ভিলিয়ার্সের। মন এবং মানসিক দিক দিয়ে এক জায়গায় ছিলেন না এই প্রোটিয়া। এসবই তাঁকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তবে আইপিএল এবং বিগ ব্যাশ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
ডি ভিলিয়ার্স বলেন, 'গত পাঁচ বছরে আমার ক্যারিয়ার এবং জীবনে অনেক কিছু ঘটেছে। সময়টা ভালো যায়নি, মন এবং মস্তিষ্ক এক জায়গায় ছিল না। এটা মোটেও ভালো দিক না। যখন মনে হয়েছে এসব ছেড়ে বের হওয়া প্রয়োজন তখনই অবসরের ঘোষণা দিয়েছি। অনেক সমালোচনাও হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই এক মাত্র উপায়। আমি জানতাম তারপরও আমি ক্রিকেট খেলবো। ২-১টা আইপিএল মৌসুম বা বিগ ব্যাশে খেলার পর আমি ফিরতে অনুপ্রেরণা পেয়েছি।'
'সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। বাউচারের সঙ্গেও এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তার তরফ থেকেই এই আলোচনা শুরু হয়েছে, আমি নিজ থেকে বলিনি। যে কারণেই বিষয়গুলো একটু জটিল। পরিস্থিতি যে কোন সময়েই বদলায়, এটা ৪-৫ বছর ধরে হয়ে আসছে। এখনও অবসরে আছি, পরবর্তী কয়েকটা ম্যাচ খেলার পরই বুঝতে পারব সব কোন দিকে যাচ্ছে', আরও যোগ করেন তিনি।