১০ টেস্ট খেলতে না পারায় হতাশ মুশফিক

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের একের পর এক সিরিজ বাতিল হচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচির কারণে এ বছর অন্তত ১০টি টেস্ট খেলার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ দলের সামনে। সিরিজগুলো বাতিল হওয়ায়, টেস্ট ম্যাচগুলোর ভাগ্য নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এটাকে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি বলেই মনে করছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। অ্যালেস্টার কুক, কেভিন পিটারসেনরা ৮-১০ বছরে একশর বেশি টেস্ট খেলে ফেলেন। যদিও বাংলাদেশের হয়ে ১৫ বছর খেলে মুশফিকের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা মোটে ৭০টি।

এর প্রধান কারণ বাংলাদেশ সাদা পোষাকে অনেক কম ম্যাচ খেলে। মুশফিকের মতে, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতিতেও প্রধান বাধা ছিল কম ম্যাচ খেলা। সম্প্রতি মুশফিক 'ক্রিকফ্রেঞ্জিকে' একটি ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেছেন।
টেস্টে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির এই মালিক বলেন, '১০টি টেস্ট খেলার সুযোগ নিয়ে যেটা বললেন, আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য বড় একটি লস হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। যদিও ২০ বছর আমাদের পার হয়ে গেছে, যে জায়গাটায় আমরা যেতে চেয়েছিলাম, সে জায়গাটায় আমরা ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করতে পারিনি। এর প্রধান কারণ ছিল আমরা প্রতিবছর টেস্ট কম খেলি।'
সব কিছু ঠিক থাকলে এবারই প্রথমবারের মতো ১০ টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ। তবে দুর্ভাগ্যবসত ২০১২ এবং ২০১৬ সালের পর এবারই এতো কম টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। করোনার বৈশ্বিক মহামারীর আগে জিম্বাবুয়ে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি করে টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকের বিশ্বাস দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং মাঠে ক্রিকেট ফিরবে।
বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, 'এই বছর যেহেতু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণে ১০টি টেস্ট খেলার মতো সুযোগ ছিল, দুর্ভাগ্যবসত এই মহামারীর কারণে এটা হচ্ছে না। প্রতিটি সিরিজটি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আশা করছি আল্লাহ যেন আমাদের এই মহামারী থেকে দ্রুতই মুক্তি দান করেন। আমরা যেন খুব তাড়াতাড়ি ক্রিকেট কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারি।'