স্মিথের সঙ্গে বুমরাহদের লড়াই দেখার তর সইছে না আথারটনের

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ। অন্যদিকে ভারতের বোলিং লাইনআপ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা। এই দুইয়ের লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার মাইক আথারটন।
স্মিথকে আটকাতে ভারতের পেসাররা কোন কৌশল বেছে নেন এটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন তিনি। স্মিথের অপ্রথাগত ব্যাটিংয়ে মজেছেন সাবেক এই ইংলিশ ওপেনার।
এ প্রসঙ্গে আথারটন বলেন, 'স্মিথের বিপক্ষে ভারত কী পরিকল্পনা নিয়ে আসে, সেটা দেখতে প্রবল আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকব আমি। সে (স্মিথ) খুবই অপ্রথাগত একজন ক্রিকেটার। এ কারণেই তার খেলা উপভোগ করি। আমার মনে হয়, খেলাটি তখনই বেশি উপভোগ্য হয় যখন অপ্রচলিত ঘরানার কাউকে পাওয়া যায়।'

'সবাই যদি একইভাবে খেলে, তাহলে খেলাটি হয়ে যায় বিরক্তিকর। স্মিথ প্রচলিত ধারার বাইরের ক্রিকেটার এবং এভাবে সফলও হয়েছে, এটা আমি দারুণ পছন্দ করি। তার ব্যাটিং আমার জন্য খেলাটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। কিন্তু স্মিথকে আউট করার কোনো সহজ উপায় আমার জানা নেই।'
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বছর অ্যাশেজ দিয়ে আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন স্মিথ। এরপর থেকেই ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন এই অজি ব্যাটমস্যান। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ১০টেস্টে ৭টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এই ম্যাচগুলোতে তাঁর ব্যাটিং গড় ৮৪.০৫।
যদিও দুই দলের সর্বশেষ সিরিজে স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নারকে ছাড়াই খেলতে হয়েছিল অজিদের। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই দুই তারকাকে সেবার পায়নি অজিরা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সর্বশেষ সিরিজে ৪ টেস্টে ২১ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ।
আরেক পেসার মোহাম্মদ শামি নিয়েছিলেন ১৬টি। ৩ টেস্ট খেলে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন ইশান্ত শর্মা। এমন পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে আথারটনেরও। ভারতের বোলিং লাইনআপের প্রশংসা করেছেন তিনি।
এই সাবেক ইংলিশ তারকা বলেন, 'আমার দৃষ্টিতে, গত কয়েক বছরে ভারতে যে দারুণ ব্যাপারটি হয়েছে, তা হলো মানসম্মত ফাস্ট বোলার বের করার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন। যদি পেছনে ফিরে যাই, ১৯৯৩ সালে যখন ভারতে খেলেছি, তারা ছিল পুরোপুরি স্পিন নির্ভর। ভালো ফাস্ট বোলার তখনও ছিল, কিন্তু আমার মনে হয় না সংখ্যার দিক থেকে এতটা গভীরতা ছিল।'
চলতি বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা রয়েছে ভারতের। সূচি অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর থেকে ব্রিসবেনে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। ১১ ডিসেম্বর অ্যাডিলেডে হবে দিবা-রাত্রির টেস্টটি। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট এবং ৩ জানুয়ারি সিডনিতে হবে সফরের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট।