দুশ্চিন্তার কারণে আট দিন ঘর থেকে বের হননি প্ল্যাঙ্কেট

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
দুশ্চিন্তা মানুষের দুটি সহজাত প্রবৃত্তি। সবাই ভয় পায়। কারো ভয়টা হয় সাময়িক, কারোটা লম্বা সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে এই লম্বা সময়ের স্থায়ীত্ব যদি ১০ বছর হয় তবে সেটি ভয়াবহ বিষয় হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। তবে এই দুশ্চিন্তার বাধা পেরিয়ে যিনি জয় পান, তিনিই প্রকৃত সফল ব্যক্তি।
এমনটাই ঘটেছে বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ পেসার লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের বেলায়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে লড়াই করছেন দুশ্চিন্তার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত সেই দুশ্চিন্তাই তাঁকে জিতিয়েছে বিশ্বকাপ। সম্প্রতি দ্য ব্রোকেন ট্রফি পডোকাস্টে নিজের জীবনের গল্প বলার সময় এমনটাই জানান প্ল্যাঙ্কেট।

তিনি বলেন, '২০১০ সাল থেকে দুশ্চিন্তা আমাকে বেশ ভোগাচ্ছিল। আমার মধ্যে অনেক বেশি উৎকণ্ঠা কাজ করত। খুব খারাপ অবস্থা ছিল যখন আমি অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম এবং সেখানে ক্লাব ক্রিকেট খেলতাম। এমনও হয়েছে, টানা আট দিন রুম থেকে বের হতে পারিনি। দুশ্চিন্তাকেই সঙ্গী করে থাকতাম।'
৩৫ বছর বয়সী এই পেসার মনে করেন, তাঁর এই উৎকণ্ঠা তাঁকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে।
এ প্রসঙ্গে প্ল্যাঙ্কেট বলেন, 'এখন পেছনে ফিরে তাকালে মনে হয়, দুশ্চিন্তাগুলোই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার, যা আমি কিছুটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছি। মনে হয়, ওই ভয়টা না থাকলে আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারতাম না, বিশ্বকাপ জয়ে দলকে সাহায্য করতে পারতাম না, এমনকি বিশ্বকাপ দলেও থাকতাম না।'
'আমার জীবনে যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেদিকে এটাই আমাকে পরিচালিত করেছে। যেমন দেখুন আমি একা একজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উৎকণ্ঠায় ভুগতে পারি, কিন্তু অপরদিকে ৩০ হাজার মানুষের সামনে গিয়ে খেলতে পারি। কোন বিষয়গুলো আমাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে, সেটা জানি। কীভাবে ভয় আমার মনে চেপে বসেছে, এবং এর কারণ আর প্রতিকারও আমি জেনে গেছি। যদিও এটা বুঝতে আমার ১০ বছর লেগেছে।'