বাংলাদেশের মতো কঠিন কন্ডিশন কোথাও দেখেননি ইংলিশ ক্রিকেটার

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ টেস্টে ৪টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন গ্যারি ব্যালেন্স। কিন্তু পারফরম্যান্স ধরে রাখতে না পারায় ২০১৫ সালে বাদ পরতে হয়ে তাঁকে। এক বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিরলেও আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি এই ক্রিকেটার।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরেও এসেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। মিডল অর্ডারে ৪ ইনিংসে মাত্র ২৪ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। প্রতি বারই আউট হয়েছিলেন স্পিনের বিপক্ষে। তিনবার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং একবার শিকার হয়েছিলেন তাইজুল ইসলামের।
হতাশাজনক এই সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট খেললেও ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে যান এই ইংলিশ ক্রিকেটার। ২০১৮ অ্যাশেজে স্কোয়াডে ফিরলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। এরপর আর ইংলিশ স্কোয়াডে ফেরা হয়নি ৩০ বছর বয়সী জিম্বাবুয়েতে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটারের।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যালেন্স কথা বলেছেন বাংলাদেশ সফর নিয়ে। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কন্ডিশনকেই সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে তাঁর। এছাড়া টেস্ট সিরিজে স্পিন দিয়ে ইংল্যান্ডকে ঘায়েল করলেও প্রস্তুতি ম্যাচে ৭ পেসার খেলিয়েছিল বিসিবি একাদশ।
এ কারণেই এখানকার কন্ডিশনে স্পিনার বিপক্ষে প্রস্তুতি না নিয়েই টেস্ট সিরিজে খেলতে হয়েছিল তাঁকে। দুই টেস্টের স্পিনের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে এটাকেই বড় কারণ হিসেবে দেখছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
ব্যালেন্স বলেন, 'পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দলে ডাক পাওয়ার আগে মোটামোটি ভালোই পারফর্ম করেছিলাম। বেশ কয়েকবার ভালো শুরু পেলেও সেটাকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরিত করতে পারিনি। করতে পারলে দলে জায়গা পাকা হয়ে যেত। এরপর বাংলাদেশ এবং ভারত সফরে যাই আমরা।'
'আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন কন্ডিশনের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমি সেখানে অনেক ভুগেছি। নিউজিল্যান্ড সফরে যতটা না ভুগেছিলাম তাঁর চেয়েও বেশি। আমরা চট্টগ্রামে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম, সেখানে ৭জন পেসার খেলায় বাংলাদেশ। স্পিনের বিপক্ষে খেলার সুযোগই তেমন আসেনি।' আরও যোগ করেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার।
২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের সর্বশেষ টেস্ট খেলা ব্যালেন্স দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ৩১ রান। দেশের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালে। বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে মাত্র ৩৬ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।