টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছেন মাহমুদউল্লাহ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মোট ৬টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসার কথা সপ্তম আসরের। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। ২৮ মে আইসিসির সভায় সিদ্ধান্ত হবে বিশ্বকাপের ভাগ্য। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আশাবাদী যথাসময়েই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তাঁর মতে, বিশ্বের সব ক্রিকেটারই এমনটাই করছে। বর্তমানে সবার একটাই চাওয়া দ্রুত খেলা ফিরুক মাঠে।
সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। অধিনায়ক আশাবাদী, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে বড় কিছু করে দেখাবে বাংলাদেশ। এবারের আসরকে তাই বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'বিশ্বকাপ নিয়ে আমি এখনও আশাবাদী। আশা করছি অক্টোবরেই বিশ্বকাপ হবে। মানসিক এবং শারীরিক দিক দিয়েও সেভাবে চিন্তা করছি। শুধু আমি না, মনে হয় সব খেলোয়াড়ই এভাবে চিন্তা করছে। সবাই মাঠে ফেরার জন্য বা খেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট হোক।'
'যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয় তাহলে আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। আশা করছি এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে বাংলাদেশ। কারণ বিগত কয়েকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের বড় কোনো সাফল্য নেই। আশা করছি এই বিশ্বকাপে বড় কিছু করে দেখাবো।' আরও যোগ করেন টি-টোয়েন্টি দলপতি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সবকটি আসরেই অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। যার প্রথম চারটিতে সরাসরি অংশ নিয়েছিল টাইগাররা। তবে ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের আসরে বাছাইপর্বের বাঁধা পার করে মূল পর্বে খেলতে হয়েছিল সাকিব-তামিমদের।
২০১৪ সালে স্বাগতিক হওয়া সত্ত্বেও বাছাইপর্বে অংশ নিতে হয় বাংলাদেশকে। ২০২০ সালের আসরেও বাছাইপর্বের বাঁধা পার করে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলকে।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত এটাই টাইগারদের সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০০৯, ২০১০ এবং ২০১২ সালে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। পরের দুই আসরে বাছাই পর্বের বাঁধা পার করলেও মূল পর্বে একটি ম্যাচে জিততে পারেনি লাল-সবুজের দল।