করোনার কারণে 'সবুজ সংকেত' পাচ্ছে বল টেম্পারিং?

ছবি: ফাইল ফটো

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
থুতু বা লালার মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। আর তাই ক্রিকেটে বোলার বা ফিল্ডারদের থুতু বা লালা দিয়ে বল উজ্জ্বল করার প্রক্রিয়া করোনা পরবর্তী যুগের ক্রিকেটে নাও থাকতে পারে। এই কারণে বৈধতা পেতে পারে বল টেম্পারিং!
জনপ্রিয় ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনটাই। প্রতিবেদনে লিখা আছে, বলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য বলে কৃত্রিম কোনও কিছু ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
যদিও বলে কামড় দেয়া, নখ দিয়ে ঘঁষে বলের সেলাই নষ্ট করে দেয়া, বলে কোনোপ্রকার ক্ষত তৈরি করা অথবা শিরীষ কাগজ দিয়ে বলে ঘঁষা দেয়ার মতো কাজগুলোকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিবে না আইসিসি।

বিকল্প হিসেবে চামড়ায় ব্যবহার করা তরল পদার্থ, মোম অথবা জুতা পলিশ করার দ্রব্যাদি দিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করা যায় কিনা সেটা নিয়েই নাকি চিন্তাভাবনা করছে আইসিসি। বল তৈরি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেমনঃ কোকাবুরা, ডিউক কিংবা এসজি’র সঙ্গেও আলাপ করছে তারা।
আইসিসির নজর থাকছে দুটি বিষয়ে, বলের আকৃতি বা ওজনে যেন পরিবর্তন না আসে। আবার ব্যাট এবং বলের অসামঞ্জস্য যেন না হয়ে পড়ে সেদিকেও নজর আছে ক্রিকেট সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
পুরো বিষয়টিতে নজর রাখবেন মাঠের আম্পায়াররা। কর্তব্যপালনকারী আম্পায়ারের পর্যবেক্ষণে কৃত্রিম বস্তু দিয়ে বলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর কাজ হবে।
আইসিসির মেডিক্যাল বিভাগের গবেষণায় পাওয়া গেছে, মুখের লালা বা থুতু দিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ানোর কারণে সেখান থেকে জীবানুর বিস্তার ঘটতে পারে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে বেশি করে ভাবছে আইসিসি।
এই বিষয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করবে এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি। আগামী মে মাসের শেষে বা জুনের প্রথমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই দুই পক্ষ এ বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।
যদিও মুখের লালা দিয়ে বল ঘষার চিরাচরিত প্রচলন থেকে বের হতে কষ্ট হবে পেসারদের, মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার জস হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্স। সাম্প্রতিক কিছু সাক্ষাৎকারে তারা সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টির উপযুক্ত সমাধানও চেয়েছেন।