এক সম্ভাবনাময় অসহায় ক্রীড়াবিদের পাশে তামিম

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সামিউল ইসলাম; গত অক্টোবরে জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণপদক জেতা অ্যাথলেট। ভালো খেলোয়াড় হবার সুবাদে বিজেএমসিতে অস্থায়ী পদে একটি চাকরি পেয়েছিলেন কিছুদিন আগে। কিন্তু করোনার প্রকোপে চাকরি হারিয়ে অভাবেই দিন কাটছিল তাঁর।
তবে দিন ফিরেছে সামিউলের। প্রায় আড়াই মাস পর কাটতে যাচ্ছে তাঁর খারাপ সময়। কেননা সামিউল এবং তাঁর পরিবারের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। আগামী তিন মাস তাঁর পরিবারের সব দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
জানুয়ারির শেষ নাগাদ অস্থায়ী পদে চাকরি করা মোট ২৬৫ জন খেলোয়াড় ও কোচকে ছাঁটাই করে দেয় বিজেএমসি। বাড়ির বড় ছেলের আয়–রোজগার নেই। এর উপর দেশে চলছে করোনার প্রকোপ। লকডাউনে বাবার মুদি দোকানটাও বন্ধ। ছয় সদস্যের ( মা-বাবা ও চার ভাইবোন) পরিবারে রীতিমতো আঁধারই নেমে এসেছে। এমন অবস্থায় রীতিমতো অর্ধাহারেই দিন কাটছে তাঁদের।

একটি ইংরেজি দৈনিক থেকে সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদের সম্পর্কে জেনেছিলেন তামিম। সামিউলের দুর্দশার কথা শুনে নিজেই তাকে ফোন দেন। ফোন দিয়ে তামিম তিন মাসের জন্য সামিউলের পরিবারের দায়িত্ব নেন।
জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকার এই মহানুভবতায় বেশ আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেছেন সামিউল। শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘তামিম ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। আমার ও আমাদের পরিবারের খোঁজখবর নিলেন। মাসে আমাদের পরিবারের খরচ কেমন, সেটাও জিজ্ঞেস করলেন। বিকাশে সে অনুপাতে তিন মাসের খরচ পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটা আমার পরিবারের অনেক বড় পাওয়া। আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
তামিম নিজেও ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের বাঁহাতি ওপেনার জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ভবিষ্যতে সামিউলের পরিবারকে আরও সহায়তা দেবেন তিনি।
গেল বছরের অক্টোবরে জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটারে ১১.৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন সামিউল। ভালো অ্যাথলেট হওয়াতে বিজেএমসির চাকরিটা হয়েছিল। এই চাকরির পাশাপাশি ফুটবল খেলেও আয়–রোজগার খারাপ ছিল না তাঁর। নিজ জেলা খুলনায় ভালো ফুটবলার হিসেবে খ্যাতি থাকায় খেপ খেলতেন তিনি। সেখানকার আয় দিয়ে পরিবারে বড় অবদান রাখতেন এই অ্যাথলেট।
কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রভাবে সেই আয়ও বন্ধ। তামিম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পর এখন হয়তো একটু স্বস্তি মিলবে সামিউল এবং তাঁর পরিবারের।