করোনায় ভেস্তে যেতে পারে আকবরদের নিয়ে বিসিবির পরিকল্পনা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ফেব্রুয়ারিতে যুব বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশ। দেশে ফেরার পর বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, আকবর-মাহমুদুলদের নিয়ে লম্বা পরিকল্পনার কথা। অনূর্ধ্ব-১৯ এর এই দল নিয়েই গঠন হবে অনূর্ধ্ব-২১ দল।
আরও দুই বছর পরিচর্যার মাঝে থাকবে বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটাররা। কিন্তু করোনাভাইরাস ভেস্তে দিয়েছে বিসিবির পরিকল্পনাকে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, মূলত আকবরদের নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল।
এবছরের জুন-জুলাই মাসে এ যাত্রার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত অনিশ্চিত। মরনব্যাধি করোনাভাইরাসের কারণে খেলা আবারো কবে মাঠে করবে ফিরবে সেটা কেউই নিশ্চিত করতে পারছেন না।

খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘এই ছেলেদের সঙ্গে আমাদের পরিকল্পনা মূলত বছরে পাঁচ মাসের। ঢাকা লিগ, এনসিএল, বিসিএল, বিপিএলে খেলবে ওরা। ছয়-সাত মাস এসব ঘিরেই থাকবে ব্যস্ততা। আমি চাইছিলাম, অফ সিজনের বাকি পাঁচ মাস যেন ওদের নিবিড় এক প্রশিক্ষণ সূচির মধ্যে রাখতে পারি। জুন থেকে অক্টোবর—এই সময়টাকেই টার্গেট করেছিলাম। কিন্তু এখন করোনার কারণে সব থেমে আছে।’
আকবর-শরিফুলদের বেশি বেশি এক্সপোজার দেয়ার কথা ভেবে রেখেছিল বিসিবি। ইচ্ছে ছিল বিদেশি কোচদের নিয়ে এসে ট্রেনিং দেয়ার। বেশি বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচ খেলানোর ব্যাপারেও ভেবে রেখেছিল বিসিবি।
খালেদ মাহমুদ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘মিরপুরের একাডেমিতে রেখে বিদেশি কোচ আনিয়ে প্রশিক্ষণ দিলাম, শুধু তা-ই নয়। চেয়েছিলাম, ওদের যত বেশি সম্ভব এক্সপোজার দেওয়া যায়। যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলানো যায়। বিভিন্ন কন্ডিশনে ওদের সামর্থ্যকে পরখ করা যায়। আমার চিন্তা ছিল, পাঁচ মাসের মধ্যে অন্তত তিন-সাড়ে তিন মাস যেন ওরা দেশের বাইরে থাকে। জুন-জুলাইয়ে দুই মাসের জন্য ইংল্যান্ডে পাঠাতে চেয়েছি। এরপর পাকিস্তানে পাঁচ কিংবা সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য। শেষের এক মাস অস্ট্রেলিয়ায়। তিনটি চার দিনের ম্যাচ, সঙ্গে পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ খেলতে।’
আকবরদের নিয়ে ২ মাসের ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ভেবে রেখেছিলেন খালেদ মাহমুদ। সেখানে কিভাবে কি করা হবে, কোথায় থাকা হবে সবই পরিকল্পনা ছিল সাবেক এই টাইগার অধিনায়কের। কিন্তু আপাতত এসব কিছুই হচ্ছে না বলে ধারণা তাঁর,
‘ইংল্যান্ডে এক কাউন্টি দলের অধীনে ওদের রাখতে চেয়েছি। দুই মাস তো আর ফাইভ স্টার হোটেলে রাখা যাবে না। চেয়েছিলাম, অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে ছেলেরা বাঙ্কার বেডে থাকবে। কঠিন জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত হবে। খাওয়াদাওয়ার সমস্যা যেন না হয়, দেশ থেকে সঙ্গে বাবুর্চি দিয়ে দিতাম। ছেলেরা দল হিসেবে খেলবে; আবার ব্যক্তিগতভাবে মাইনর কাউন্টির বিভিন্ন ক্লাবে খেলানোরও ব্যবস্থা করতাম।'
এই প্রোগ্রামে অর্থ কোনো সমস্যা হবে না বলে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান আশ্বস্ত করেছেন সুজনকে। আর তাই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কাজ করছিলেন তিনি। সুজনের ভাষায়, ‘আমি পাপন ভাইয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম। উনি প্রোগ্রাম, বাজেট তৈরি করতে বলেছেন। ইংল্যান্ডে দুই মাসে এক কোটির কিছু বেশি টাকা লাগবে। পাঁচ মাসের পুরো প্রোগ্রামে আড়াই-তিন কোটি টাকা। এসব নিয়ে কাজ করছিলাম। কিন্তু এর মধ্যেই তো করোনার কারণে সব আটকে গেল।’
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ