রিভিউ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ সাউদি-সাকিবরা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
করোনাভাইরাসের প্রকোপে ২২ গজে থেমে গেছে ক্রিকেটারদের আনাগোনা। খেলা বন্ধ থাকায় থেমে আছে রেকর্ডের পাতাও। এমন পরিস্থতিতে চোখ বুলানো যাক ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত প্রযুক্তি ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে (ডিআরএস)।
আম্পায়রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে নেয়া হয় এই রিভিউ। গত পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৩০০ রিভিউ নেয়া হয়েছে। এই পাঁচ বছরে বোলারদের ক্ষেত্রে রিভিউ জয়ের হার সর্বাধীক কম পরিলক্ষিত হয়েছে কিউই বোলার টিম সাউদি, বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ভেতর।
নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি বিগত পাঁচ বছরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন মোট ১৯ বার। এর ভেতর তিনি সফল হয়েছেন মাত্র একবার। ব্যর্থতাঁর খাতায় নাম লিখিয়েছেন মোট ১৫ বার।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন নিষিদ্ধ থাকা বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের এই ক্ষেত্রে সফলতার হার ৬.২৫ শতাংশ। নিষিদ্ধ হবার আগ পর্যন্ত গেল ৫ বছরে সাকিব নিয়েছেন ১৬টি রিভিউ। এর ভেতর সফলতার মুখ দেখেছেন মাত্র একবারই। ২ বার আম্পায়ার কলের সঙ্গে সঙ্গে ১৩ বারই ব্যর্থ হয়েছেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
সাকিবের পরেই রয়েছেন পাক পেসার মোহাম্মদ সামি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ১৫ বার চ্যালেঞ্জ করে সফল হয়েছেন মাত্র একবার। বাকি ১৩ বারই ব্যর্থ হতে হয় তাঁকে।
৪র্থ অবস্থানে রয়েছেন সাউদির সতীর্থ ট্রেন্ট বোল্ট। ২৪ রিভিউর বিপরীতে ১৮ বারই হতাশ হতে হয় তাঁকে। মাত্র ২ বার সফলতার মুখ দেখেছেন তিনি। আর ৪ বার আম্পায়ারের কলে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁকে।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ভেমন ফিল্যান্ডার। ২২টি ডিআরএসের ভেতর ১৭টিতেই ব্যর্থ হয়েছেন এই প্রোটিয়া পেসার। বিপরীতে ২টি রিভিউতে সফল হয়েছেন তিনি।
এই তালিকায় সর্বশেষ ব্যর্থ বোলার হিসেবে রয়েছেন পাকিস্তানের পেসার ইয়াসির শাহ। তাঁর সফলতার হার ৯.৫২ শতাংশ। ২১ রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছেন তিনি দুইবার। আর ব্যর্থতাকে সঙ্গি করে নিতে হয়েছে ১৭ বার।