প্রধানমন্ত্রীর কাছে আইসিইউ চাইলেন মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মরনব্যধি করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বের মতো স্থবির হয়ে পরেছে বাংলাদেশও। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬২১। আর মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।
এমন অবস্থায় দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন সকলেই। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও আছেন এই তালিকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নড়াইল জেলা হাসপাতালে একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) প্রতিষ্ঠার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ তিনি।
রোববার (১২ এপ্রিল) খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের বসেন নড়াইল-২ আসনের এই সংসদ সদস্য। ভিডিও কনফারেন্সের এক পর্যায়ে নড়াইল জেলার সঙ্গে কথা বলার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নিকট এই বক্তব্য তুলে ধরেন মাশরাফি।
সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, 'নড়াইল সদর হাসপাতালকে উন্নত হাসপাতালে রূপান্তর করার বিষয়ে আপনার নির্দেশনার চিঠি এরই মধ্যে এসেছে। হাসপাতালের ২৫০ শয্যার কাজ চলছে। করোনার এ সংকটে জেলা পর্যায়ে কোনো আইসিইউ করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আমাদের এখানে একটি আইসিইউ হলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এ কার্যক্রম আরও সফলভাবে প্রতিহত করতে পারবো।'

করোনাভাইরাস দমনে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন মাশরাফি। যা নজর কেড়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ভিডিও কলে মাশরাফির প্রশংসা করেছেন তিনি।
নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফিকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তুমি ভাল কাজ করছো। মুক্তিও (নড়াইল ১ সাংসদ) ভাল কাজ করছে। দুজনে ভাল কাজটা চালিয়ে যাও। তাহলে নড়াইলের ভাল হবে।’
গত শুক্রবার (১০ এপ্রিল) মাশরাফির নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নড়াইল সদর হাসপাতাল গেটে স্থাপিত করা হয় ডিসইনফেক্টর চেম্বার বা জীবাণুনাশক কক্ষ।
হাসপাতালে প্রবেশ করার সময় এই কক্ষের মাধ্যমে প্রবেশ করলে সেই মানুষের শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে। এতে করে শরীর ভিজে যাবে না, আবার জীবাণুও মরে যাবে। এর মাধ্যমে হাসপাতালে প্রবেশ ও প্রস্থান কারী সকলেই উপকার পাচ্ছেন।
এর আগে করোনাভাইরাস ছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্তরা যেন সঠিক চিকিৎসা পায়, এ কারণে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ব্যবস্থাও চালু করেন মাশরাফি। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই উদ্যোগ নেন।
দ্বীপ বিশ্বাস এবং স্বপ্না রানি সরকার নামের দুই ডাক্তার নড়াইলের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং দুস্থদের সঠিক চিকিৎসা প্রয়োগের যথার্থ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শুরু থেকেই এগিয়ে আসেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি। নিজ এলাকায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১২০০ পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।
এছাড়া চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য সর্বমোট ৫০০টি সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) দেয়ারও ঘোষণা দেন মাশরাফি। তাছাড়াও ক্রিকেটারদের গড়া তহবিলে নিজ বেতন থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন মাশরাফি।